সে রাতে কখন যেন আমি এক পরিযায়ী সমস্তরকম ঘেরাটোপের বাধ্যবাধকতার পরিখা ছাপিয়ে ভালোমানুষীকে জলাঞ্জলি দিয়ে প্রথম ডানামেলার স্বাদ মুক্ত বিহঙ্গ ।
মেঘ তখন সারথী পথ চিনিয়ে চিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলো আমায় জ্যোৎস্না উদাসী বাউল বাতাসের কণ্ঠে ভাটিয়ালী আর বৃষ্টি বুকের মধ্যে নদী প্রবাহ ।
আমার সেই বহুল দীর্ঘ প্রতিক্ষিত আলোকবর্ষ সময়ের স্বপ্নের মাধুরী সিক্ত দ্বীপ যে আমার মনের গভীরে এতদিন ঘুমিয়ে ছিল কিছুতেই যাকে জাগাতে পারছিলাম না আজ সে জেগে উঠে উন্মুক্ত উপত্যকা এক ভেজা বালুচর প্রথম সন্ধিক্ষণের খোলা চিঠি আলতো করে ছুঁয়ে যায় নূপুর ঢেউ আনমনে একা একা বৃষ্টি ব্যস্ত আঙুল আঁকিবুকি কাটে বালিতে রাত্রি কুঞ্জবন প্রথম মিলন অনুষ্ঠান প্রথম শপথ দিগন্তের নীরবতায় হৃদয়ের উষ্ণতায় সেই প্রথম মিলন ফিসফিস করে বলল সে কীগো ভালোছেলে এতদিনে সময় হলো আসার? বললাম আমাকে আজ খারাপছেলে করে দাও বিনিময়ে শঁপে দিলাম আমার সব ভালোমানুষী তোমায় সে বলল তাই ,কী করে করি বলোতো বললাম সেতো জানিনা সে ভাবনা তোমার বলল সে তাইনা , তবে চেপে ধরো হাতটা আমার তোমার ভালোমানুষীকে যৌতুক রেখে চাঁদটাকে নামিয়ে আনি
হাতটা চেপে ধরতেই পলাশ ফাগুন অন্ধকার স্বাগত জানালো আমাকে বকুল মেলে দিলো তার একরাশ সৌরভ কৌম পাপড়ি একটু একটু করে ডুবে গেলুম আমি পেলবতার ধানক্ষেতে
বেজে উঠলাম রাশিরাশি বকুল ফুল ঝিঁঝির কনসার্ট কোথা থেকে উড়ে এলো ভ্রমর গুঞ্জনের সুরে সুরে ক্রমশ আমি পাহাড়ে চরতে লাগলাম কখনো গভীর খাদ কখনো খাড়াই চূড়া আবার তুষার মৌলি তবু এতটুকু ক্লান্তি নেই এতটুকু গ্লানি কেবল সমস্ত শরীর দিয়ে টপ টপ করে ঝরে পড়ে কদম সুগন্ধ