পোড়া গন্ধ ◆◇◆◇◆◇◆ তিমিরণ দত্তগুপ্ত     (১) শিখার অনেকক্ষণ থেকেই জলতেষ্টা পেয়েছিল।দু’বার ‘কেয়া,কেয়া’ করে ডেকেও যখন সাড়া পাওয়া গেল না,তখন দু’হাতে ভর রেখে কোনরকমে আধশোয়া হয়ে বিছানায় বসে দরজার দিকে তাকাল।গ্রীষ্মের পড়ন্ত বেলা,বন্ধ জানালায় মোটা পর্দা ঝুলছে।প্রায়ান্ধকার ঘরে কিছুই বোঝা যায় না।চোখ সইয়ে আধ ভেজান দরজার ফাঁক দিয়ে বাইরে
অভিজ্ঞানম্ ◆◇◆◇◆◇◆ –:: শ‍্যামাপ্রসাদ সরকার ::–     সখীচতুঃষ্টয় পরস্পরকে আকর্ষণ করে রোরুদ্যমানা। তিনটি সদ্যন্মোষিত উদ্ভিন্ন যুবতী আর চতুর্থটি বনের হরিণী একটি। এ যুবতীত্রয়ের প্রধানাটি আজ বেতস লতার গহনার সঙ্গে চন্দনের সাজে অনুপমা, তার কন্ঠের যূথীকার মাল্যটি তার অসূয়া বিহীনা ও প্রিয়ভাষিণী দুই প্রিয়সখীর স্বহস্তে গ্রথিত। পতিগৃহের উদ্দেশ্যে তপোবালাটির বিচ্ছেদবিরহের
“জরিমানা” ◆◇◆◇◆◇◆ –:: প্রাপ্তি মুখোপাধ‍্যায় ::– সমস্ত বিচ্ছেদের জরিমানা হিসেবের অনুগত নয়। জানলার গায়ে পাঁচিল উঠলে কারো নিরাপত্তা বাড়ে, কারো বুকের অসুখ। যাপন আপডেটে হেডলাইনের নাম আদতে মিথ্যে বা সাজানো বা ভুল। দেয়ালের রংতুলি , সুমন্দ্র কলঘরে মৃদুমন্দ অশ্রুঘনস্নান, আনা গোলাপের তোড়া না-আনা বাসমতী বা ধূপ, দাগধরা পিরিচটা তুলে রাখা-
☆★☆”সামাজিক দায়”☆★☆ ○●○●○●○●○●○●○●○●○ শিব প্রসাদ হালদার     এ লজ্জা স্বীকারে যেন, লাগে আরও লজ্জা ! আমি করি বাস-সেই সমাজে, যাকে কখনও, কখনও, করতে চায় গ্রাস। আমি সদা চিন্তিত- হবে কি বিপন্ন তার মজ্জা? আধুনিক সভ্যতার চকচকে মোড়কে নির্লজ্জ সামাজিক দ্রুত অবক্ষয়ের অসহ্য কিছু নগ্ন অনাচার, অবিরত বিবেককে করে আঘাত;
“কলঙ্কহার” –:: ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় ::–     বিনোদবঁধুয়া কালা কালোমানিকের মালা পেতেছে মোহনিয়া ফাঁদ। পাখি সেজে আসি বলে ভালোবাসি এ কেমন প্রেমছাঁদ। পরাণপুতলি কাঁদে পাখি বলে রাধে কেমনে দেবো যে সাড়া। রাধা রাধা বোলে অধীর করে মোরে কি যে করি দিশাহারা। নয়নে উছলায় অমৃত অশ্রু এ যে কালাচাঁদপাখি। আকুল করে