তবু গঙ্গা বয়ে চলে ✍ শ্যামাপ্রসাদ সরকার       চুপ করে বসে থাকতে থাকতে গুপে দেখতে পেল কলকলিয়ে গঙ্গায় জোয়ারের জল আসছে। আর নিমতলা ঘাটের সেই কাঁচাপাকা রাস্তাটা গঙ্গার ধার ঘেঁষে বোধহয় অারো দূরে গিয়ে হারিয়েই গেছে। এই নদীকে এখানকার সবাই বলে ‘পতিতোদ্ধারিণী গঙ্গে’ ! এর কাছেই বৈঠকখানা বাজারটায়
আজকের ডায়েরী ✍ সুতপা সরকার       এই যে রাত্রির এতটুকু নিঃসঙ্গ উপকূল ! নিঃসন্দেহে নক্ষত্রের দেশে স্বেচ্ছা বিচরণ! এতটুকু প্রাপ্যতা প্রতিটি মননের অধিকার, তাই এই ওমটুকু নিংড়ে নিতে সদর দরজা সপাটে বন্ধ করতেও দ্বিধা নেই! এখন স্রেফ মননের এস্রাজে মগ্ন সুরের বুনোট বুননে সে যাই হোক, হোক না
হাবিজাবিকথা ✍ বৈশাখী রায়       কখনও কখনও ভীষণ ভীষণ ভীষণ হিংসে পায় জানেন! গলা থেকে বুকের মাঝ বরাবর অবধি জ্বলে পুড়ে খাঁক হয়ে যায় একদম। কলজের ঠিক মাঝখানটায় তুষের আগুন জ্বলে অহর্নিশ। মনে হয় আঁচড়ে কামড়ে রক্তাক্ত করে দি দয়িতকে বা হাতের নীলচে শিরাগুলোর ওপর দিয়ে তীব্র আক্রোশে
অবেলার গান ✍ ডঃ মদন চন্দ্র করণ (বিদ্যালঙ্কার)       অনেক দিন হল কোনো স্বপ্ন দেখিনা মনময়ূরী স্বপ্ন বাসর ঘর অপ্সরা নারী রামধনু রঙে নকশা ইচ্ছে প্রজাপতি ডানা সোনার গাছে রুপোর ফল… অনেক দিন হল দাঁত গুলি হাসতে ভুলেছে এক সময় শরতের কদম গুচ্ছ ছিল হাসি নৌকা বিলাস নবান্ন
অবসরকথন ✍ পাখী রায়       একটু একটু করে বড়, ছোট, মাঝারি সিঁড়ি ভাঙছি ভুলে যাচ্ছি সর্ষে ক্ষেতের গন্ধ মাখা বিকেল ফাল্গুনের রোদ পড়ে আসে ছায়ারা দীর্ঘতর হয় মাথার ওপর সামিয়ানার মত আকাশ যেহেতু পাহাড় এবং সমুদ্র দুটোই আমার প্রিয় একসঙ্গে কাছে পাব বলে উবু হয়ে বসে পড়ি তারপর