এপিটাফ সিরিজ শ্যামাপ্রসাদ সরকার   (১) শব্দহীন সঘন জ্যোৎস্নায় আমার দু’চোখে মৃত্যু এসে চুমু খায়। খলবল করে ওঠে যাপনের কইমাছ তবু তো থামতে হয়,স্তব্ধতা শুধু। হাঁ-মুখে স্বেচ্ছাধীন সেই জীবনের অরণ্যমেখলা তাও ছেড়ে যাবার অস্ফূট প্রয়াস করেছি জোর করে, একরকমের যদিও। তুমি ঘোমটা খুলে মুখ নামিয়েছ বুঝি? এ তো চুম্বনের জন্য
আমাদের করছে ঘৃণা তপন কর্মকার   জানিনা কাল তুমি হাসবে কিনা  জানিনা কাল তুমি বাঁচবে কিনা এই জল জঙ্গল জন্মভূমি আমাদের করছে ঘৃণা,  আমাদের করছে ঘৃণা। মহা প্রকৃতির প্রাণ কেড়ে কেউ হয়ে যাও রাজা তাই ঝড়-তুফান ভূমিকম্পনে আমরা যে পাই সাজা মানুষের কেন মান-হুশ নেই, মনুষত্বহীনা (ও) মনুষত্বহীনা। ফুলের হাসি
হাড়োল কাকলি ঘোষ   এই দুপুরের সময়টা সাধারণত কেউ আসে না। থানা ফাঁকাই থাকে। বাইরে কনস্টেবল রাম সিং চেয়ারে বসে ঝিমোয়। ভেতরেও কেউ কেউ টেবিলে মাথা দিয়ে ঘুমিয়ে যায়। খেয়ে দেয়ে এসে সবে নিজের জায়গাটিতে বসে একটা দাঁতে একটা কাঠি লাগিয়েছেন অমিয় পাত্র। তখনই দেখলেন লোকটাকে। ভয়ে ভয়ে যেন খুব
ঘুরে এলাম ভাইজাগ আরাকু ✍️ শিবপ্রসাদ হালদার   হরিসাহা হাট ক্ষুদ্র ওস্তাগার ও পাইকারি ব্যবসায়ি উন্নয়ন সমিতির অফিস ঘরে তখন চলছে বিশেষ জরুরি সভা। টুরের ভাবনায় ভাইজাগের কথা উঠে আসতেই সমিতির সকল সদস্যদের সর্বসম্মতিতে এই প্রস্তাব পাশ হয়ে গেল। ধীরে ধীরে শুরু হয়ে যায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি।নোটিশ দিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে
নিশি ডাক শ্রী নীলকান্ত মণি   বাঁশী, বাঁশীর সুর আর বাঁশুরিয়া এরা তিনজন পথ হাঁটছে ! বাঁশুরিয়া ফুঁ দিয়ে দিয়ে বাঁশীতে যে সুর তুলছে, বাতাসে সে সুর দুলছে ! সে সুরের দোল প্রকৃতির চোখে মুখে, থেকে থেকে তার দ্যুতি, ঝিকমিক করে উঠছে, অশ্রুত ধ্বনি কোথায় না জানি বাজে, কেন বা