পঞ্চম সুন্দরী
রঞ্জিত চক্রবর্ত্তী
হেমন্তের শেষ আঁধার ঢলে পড়তে না পড়তেই
এসে হাজির হয়ে গেছে সে।
কখন যেন ধীরে ধীরে চুপিসারে এসে গেছে,
বুঝতেই পারেনি কেউ।
তার তারার ঝলকানি যেন হাজারটা চোখ,
এখন চুপ করে দেখছে পৃথিবীর অভিনব রূপ।
চারদিকে ছম ছম সিগ্ধ নিস্তব্ধতা।
হিমেল চাদনিতে জড়িয়ে
প্রকৃতি যেন কানের কাছে এসে বলছে
এক গোপন রহস্যের কথা।
তাতে মন সাক্ষী হয়ে ওঠে নতুন এক জগতের।
এ এক আত্মীয় অনুভূতি।
ভোরের সূর্য যেন লাজুক চোখে উঁকি মারে
ওই সবুজ দিগন্তের ওপাশ থেকে।
ঝরা পাতা শিশিরে ভেজা রাস্তায়,
বাতাসে এখন কেমন যেন খুব চেনা ঘ্রান।
সবমিলিয়ে এক স্বপ্নময় পটভূমির সৃষ্টি হয়েছে।
গাছের ডালে ঝুলছে শুকনো পাতার গহনা।
কাশফুল, সাদা বিন্দুগুলোকে
তার বুকে টেনে ফুটে ওঠে।
এদিকে কুয়াশায় ঢাকা ক্ষেতে
যেন ছড়িয়ে গেছে সহস্র তারা।
সূর্যময় নদীর বুকে ভেসে ওঠে হীরের খেলা।
ভোরের আলোয় ঝলমল করে
এক অলৌকিক দৃশ্য।
এখন বাতাসে মিশে চলেছে সূর্যের রশ্মী,
এক সোনালী স্বপ্নের মতো।
পাখির গানের সুরে মুখরিত হয় চারদিক।
এক নিঃশব্দ সংলাপ চলে
মনের সাথে, আত্মার সাথে।