পেশাই বলুন বা নেশাই বলুন সেটা হল শিক্ষকতা, ছোট-বড়ো, কচিকাচাদের মধ্যে দেখাই আমার দক্ষতা। স্নেহ-ভালবাসার সাথে শেখাই তাদের কবিতা ও অঙ্কন, এমনভাবে জিতেই নিয়েছি তাদের হৃদয় স্পন্দন।
আজকে শুভ শিক্ষক দিবসে পড়ছে মনে ছোটবেলাটা, মায়ের কাছে শিখেছিলাম জীবনের প্রথম ছন্দটা। তিনিই তো আমায় কোলে নিয়ে ঘুম পাড়ানো গানে– ভরিয়ে দিতেন সুর-ছন্দ আমার মনে-প্রাণে।
হাতটা ধরে বাবা দেখাতেন প্রাকৃতিক সব দৃশ্যগুলি, খোলামাঠে খেলছে কেমন পশু-পাখি আর গাছগুলি। জীবনে চলার পথে চিনতে শেখালেন মন্দ-ভালো, তাদের ছাড়া যায় না দেখা পৃথিবীর এই আলো।
ভুবন জুড়ে পাঠশালাতে শেখার কতোই কিছু আছে, শেখার জন্য বেড়াতাম ঘুরে বাবা-মায়ের পাছে পাছে। সূর্য-চন্দ্র,নদী-পাহাড়,আকাশ-বাতাস,ঝর্ণা-সাগর-মাটি, এদের কাছে শিক্ষাটুকু সবার চেয়ে খাঁটি।
লিখছি-পড়ছি-শিখছি আমি আজও কত শত, এখনও শুধুই বই পড়ি না বইয়ের পোকার মত। শেখার কোনো বয়স হয় না বয়সটা সংখ্যা মাত্র, শেখার কি আর শেষ আছে তাই শিখছি দিবারাত্র।