শিক্ষাগুরু
সুপর্ণা দত্ত
✍️✍️✍️
পেশাই বলুন বা নেশাই বলুন সেটা হল শিক্ষকতা,
ছোট-বড়ো, কচিকাচাদের মধ্যে দেখাই আমার দক্ষতা।
স্নেহ-ভালবাসার সাথে শেখাই তাদের কবিতা ও অঙ্কন,
এমনভাবে জিতেই নিয়েছি তাদের হৃদয় স্পন্দন।
আজকে শুভ শিক্ষক দিবসে পড়ছে মনে ছোটবেলাটা,
মায়ের কাছে শিখেছিলাম জীবনের প্রথম ছন্দটা।
তিনিই তো আমায় কোলে নিয়ে ঘুম পাড়ানো গানে–
ভরিয়ে দিতেন সুর-ছন্দ আমার মনে-প্রাণে।
হাতটা ধরে বাবা দেখাতেন প্রাকৃতিক সব দৃশ্যগুলি,
খোলামাঠে খেলছে কেমন পশু-পাখি আর গাছগুলি।
জীবনে চলার পথে চিনতে শেখালেন মন্দ-ভালো,
তাদের ছাড়া যায় না দেখা পৃথিবীর এই আলো।
পিসি-মাসি,কাকি-জ্যেঠি,কাকা-জ্যেঠা বা মেসো,
বাড়ির যত গুরুজনেরাও কম-বেশি শেখাতেন প্রায়স।
অন্তরে মোর জ্ঞানের আলো জ্বেলে দিলেন তারাই,
বিদ্যালয়ের শিক্ষাগুরু প্রণম্য আমার সবাই।
ভুবন জুড়ে পাঠশালাতে শেখার কতোই কিছু আছে,
শেখার জন্য বেড়াতাম ঘুরে বাবা-মায়ের পাছে পাছে।
সূর্য-চন্দ্র,নদী-পাহাড়,আকাশ-বাতাস,ঝর্ণা-সাগর-মাটি,
এদের কাছে শিক্ষাটুকু সবার চেয়ে খাঁটি।
লিখছি-পড়ছি-শিখছি আমি আজও কত শত,
এখনও শুধুই বই পড়ি না বইয়ের পোকার মত।
শেখার কোনো বয়স হয় না বয়সটা সংখ্যা মাত্র,
শেখার কি আর শেষ আছে তাই শিখছি দিবারাত্র।
🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏