পতিত পাবনী মা গঙ্গা
মৃনাল কান্তি বাগচী
তুুমি মা গঙ্গা,বয়ে চলেছো গঙ্গোত্রী থেকে সাগরের দিকে অনাদি অনন্ত কাল হতে,
এই দীর্ঘপথে গড়ে উঠেছে কত শহর জনপদ তোমার দুই পাড়েতে।
তোমার জলধারায় সিক্ত হয়ে তৈরী হচ্ছে শসা শ্যামলা সবুজ খেত ও অজস্র বনভূমি,
মোদের বেঁচে থাকার খাদ্য,বস্ত্র,বাসস্থানের রসদের অন্নদাত্রী তুুমি।
তোমার করুনায় পাই মোরা তৃষ্ণার বারিসহ বেঁচে থাকার সব রসদ,
তাইতো তোমার দুই পাড়ে গড় উঠেছে এতো সমৃদ্ধ জনবসত।
অসংখ্য শাখা নদী উপনদী রয়েছে এই দীর্ঘ প্রবহমানতার পথে,
তাদের জলধারা মিশেছে কোথাও না কোথা তোমার সাথে।
তোমার পূন্য সলিলে স্নাত হয়ে অনেক মানুষ করে তাদের পাপের স্খলন,
সেকারণে তোমার হয়েছে পতিত পাবনী নামকরন।
ভারতীয় সভ্যতা গড়তে তোমার রয়েছে প্রচুর অবদান,
তবুও তোমার পুতপবিত্র বারিধারা করছি মোরা সতত দূষন।
সব উপকার ভুলে গিয়ে মোরা নির্বিচারে করছি তোমার ক্ষতি,
এতো তোমার ক্ষতি নয়,এতো মোদের নিজেদের আত্মাহুতি।
কলকারখানার বর্জ্যপদার্থ ও অন্যান্যভাবে করছি তোমায় সতত দূষন,
কোনো প্রতিবাদ না করে নীরবে সইছো তুুমি সে বেদন।
যদিও তোমার দূষন দূরীকরণে নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন পরিকল্পনা,
প্রয়োজনের তুলনায় অতি নগন্যই সে সব ব্যবস্থাপনা।
তোমার সহিষ্ণুতা ও পরোপকারের নেই কোনো তুলনা,
তাইতো তুমি সন্তান বাৎসল্য রূপিনী স্রোতস্বিনী মা গঙ্গা।
তোমাকে আদর্শ করে যদি চলতো মানুষ এই ভবে,
অনেক হিংসা,দ্বেষ ধরনী হতে রহিত হতো তবে।
তোমার পুতপবিত্র মাতৃরূপ, চিরকাল বজায় থাকুক,
তোমার পরশে ধন্য মোরা, জগৎ সভায় তোমার মহিমা থাকুক জাগরুক।।।
———— +++++++ ———–