স্মরণে সত্যজিৎ
✍ অনিমেষ
তোমার সঙ্গে প্রথম আলাপ
কতই বা বয়স,
সেই তো ছিল ছেলেবেলা
পত্রিকা সন্দেশ।
এলো ফটিক এলো হারুন
ছুটির ধর্মতলা,
ভরদুপুরের সাথি ছিল
সুজন সে হরবোলা।
একে একে ফেলু তপেশ
জটায়ু লালমোহন
বৈজ্ঞানিক প্রফেসর শঙ্কু,
প্রহ্লাদ, নিউটন।
গুপি বাঘার সঙ্গে হরেক
মজার কারখানা,
ভালোবেসে চিনিয়ে দিলে
শৈশবের জগৎখানা।
ইন্দির ঠাকরুণ সর্বজয়া
হরিহরের ঘরে
রূপোলি পর্দায় নিয়ে গেলে
নিশ্চিন্দিপুরে।
কাশের বনে রেলের গাড়ি
কু ঝিকঝিক যায়
দিদির সাথে দেখতে ছোটে
শিশু অপূর্ব রায়।
পায়ে জুতো হাতে তালি
হাল্লা হীরক শুন্ডি,
ধরিয়ে দিলে যেথায় যত
দুষ্টু লোকের ফন্দি।
সময় গেছে ক্রমে ক্রমে
বয়স পরিণত
সামনে তখন তোমার সৃজন
ছায়াছবি যত।
ছায়াছবির নিখুঁত চিত্রায়ন
কেমন করে ভুলি ?
তোমার হাতের পেন্সিল স্কেচ
প্রাণ পায় সবগুলি।
তোমার সুরের যাদু পরশ
চলচ্চিত্রে মিশে,
স্বপ্নলোকের সোনার কাঠি
অন্তরে আবেশে।
অরণ্যে দিন রাত্রি শেষে
কাঞ্চনজঙ্ঘা পাড়ি
ঘুমের ঘোরে আজও ছোটাই
অভিযানের গাড়ি।
দেশ বিদেশের পুরস্কারের
পরেছিলে মালা
জলসাঘরের ঝাড়বাতিটায়
আজও মানিক জ্বালা।
সবার মনের পরশপাথর
সমাপ্তি নেই তোমার,
এই জন অরণ্যের মাঝে
তুমি আপন আমার।
নায়ক তোমায় স্মরণ করে
দিন আমাদের যায়,
শতবর্ষে সেলাম মহারাজ
শ্রী সত্যজিৎ রায়।
🙏
—০০০:::XX:::০০০—