“কে তুমি”
—:: সমীর চক্রবর্তী ::–
(যোগীপাড়া/কোলকাতা-২৮)
কে তুমি–আমার আশে পাশে
অন্ধকারে গোপনে ক্লেদাত্ত শরীরে
নগ্নদেহে ঘুর ঘুর করছো !
কি পরিচয় তোমার ?
বারবার এদিক ওদিক হেঁটে বেড়াচ্ছো ।
তুমি কি—দিল্লির নির্ভয়া
নাকি পার্কস্ট্রিটের সুজানে ?
তেলেঙ্গানার প্রিয়াঙ্কা নাকি
কামদুনির অনামিকা?
কে তুমি ? এখানে এসেছো কেন ?
কেন বারংবার বিরক্ত করছো ?
আমার কাছে কি চাও?
অস্পষ্ট ! অস্ফুট কন্ঠস্বর !
তবু মনে হলো অগনিত নারী
আমাদের বাঁচান দাদা ,
ভয়ঙ্কর বেদনার আর্তনাদ….!
তোমরা কেন এসেছো এখানে?
কী আর্ত্তি তোমাদের ?
আমরা নারীত্বের অপমানের
প্রতিশোধ নিতে চাই।
আমার কাছে কেন?
আমি জানি তুমি পারবে,
তোমার মধ্যে প্রতিবাদী কন্ঠ আছে!
যৌবনে লাল পতাকা উড়িয়ে
কমনরুমের টেবিলে ঝড় তুলে
কত শোষণ মুক্তির কথা বলতে!
আজ তোমার সেই জ্বালাময়ী
ভাষণ কি হারিয়ে গেছে?
একটু হতবাক, বললাম
সেদিনের কোনো উত্তর আজ
আমার আর জানা নেই।
শোনো! আজ আমরা প্রতিকার চাই–
প্রতিবাদে তোমাকেই চাই ।
কেন নারীকেই বারবার ধর্ষিত হতে হবে?
লাঞ্ছনা, বঞ্চনার শিকার হতে হবে?
আমরা পুড়তে চাইনা,
আমরা মরতে চাই না।
মাথা উঁচু করে বাঁচতে চাই,,,!
আগুনে পুড়ে ছাই হতে চাই না।
নির্লজ্জ রক্ত পিপাসু হায়নার
সাথে লড়াই সংগ্ৰামে
তোমাকেই পাশে পেতে চাই।
এসো ! দাঁড়াও , হাত ধরো —
সবকিছুর অন্তরালে দেখি
এক নগ্ন মূর্তি, স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে
আমার দিকে তাকিয়ে অপেক্ষায়
লজ্জায় মাথা নত , হৃদয়ে লাভ ডাভ
শব্দ, মুষ্টিবদ্ধ হাতে এগিয়ে যাই ,,,,,
তাকিয়ে দেখি–
একি! এতো আমারই “মা”।
—০০$$০০—