কিছুই দেখা যায় না, না ঈশ্বর, না হৃদয়, না মন, না প্রেম, না ভালোবাসা, গাছের পাতা নড়ে হাওয়ায়, বুঝি বইছে হাওয়া, গাছ ভাঙে ঝড়ে বুঝি আমফান ও যশের গতি, হার মানি, হারিয়ে যায় ভাষা। শরীর কথা কয়, ভালো, মন্দ, নড়ে চড়ে, সুখে দূখে, কত কাঁদা হাসা, সুন্দর চোখের চাওয়া, পাওয়ার স্বপ্ন, মায়া মমতা, না দেখা আশা। যেন অলৌকিক শক্তি, ঈশ্বরের অনুভূতি, পাগোল করার নেশা! ঈশ্বর কি দেখা যায়? তবু সে আছে মনে হয়, মনের দেখা পাই না, তবু মনেই তাঁর বাসা। ভালোবাসা কি আছে? কোথায়, কি ভাবে, কার কাছে? দেখেছো কেউ তাকে? না, দেখা যায় না। তবু আছে ভালোবাসা, এই শরীরের খাচায় বন্দী মনের গোপন গুহায় ঠাসা! কে যে কি বলে, সত্যি না মিথ্যে? বলে ভালোবাসি, বিশ্বাস করি, প্রাণ ভরি, বলে তুমি আমার, তুমি আমার ভালোবাসা, এ কি ঈশ্বরের মত অলৌকিক মায়া, শক্তি না কি একটু সুন্দর করে বাঁচার আশা! মনটা উদাস হয়ে ভাবে, এই দেহটা পুড়ে হবে ছাই, মিশে যাবে মাটিতে, হারিয়ে যাবে চিরতরে, হারিয়ে যাবে অনুভূতি, আবেগ, প্রেম, বিরহ, জাগতিক সব আশা, হারিয়ে যাবে অলৌকিক শক্তির মিথ্যা বিশ্বাসের স্বপ্নের ভালোবাসা ! কিছুই দেখা যায় না, শুধু শরীরটা ছাড়া,
এই ভঙ্গুর পিঞ্জর কত সুন্দর বুঝি সেইদিন, যেদিন আর বলে না কথা, থাকে না অনুভূতি, চোখের জলে ঝরে পড়ে না বেদনা, হাত বাড়িয়ে বলে না, তুমি এসো, তুমি বস, তুমি কেন কথা বল না? আমি যে তোমার, আমি যে তোমার ভালোবাসা !