“এসো এসো আমার ঘরে এসো,
আমার ঘরে “
মৌসুমী ঘোষাল চৌধুরী
***************
দেবমাল্য, পথহারা এই পশ্চিমের কালো মেঘকে
তুমি ভালোবেসে ফেলেছ !
পারবে কি হ্যারিকেনের আলোয়
তোষক টায় বসতে।
পারবে কি জানলে,
বৃষ্টি এলেই আমি এলো চুলে ডুরে কাপড়ে
ভালোবাসার ঘরে যেতাম।
একটা জমানো ভাঁড় গুছিয়ে।
প্রথম সেন্টের শিশি, আমার শরীরে মাখিয়ে
একটা নাম লিখেছিল সে চিঠিতে
” আ্যট লাস্ট “।
জিম ও ডেলার মত আমাদের টিনের ঘরে ও
ভর্তি ছিল পড়ার বই।
যখন রাত্রি দুটো বাজত, মা বায়না ধরত।
” বনেদী ঘরের মেয়ে আমি
এনে দিবি জরোয়া ঝুমকো
আমি আমার নাতবৌকে দেখে আসব। ”
বললাম, ” আমি তো একটা মোতি কুড়িয়ে পেয়েছি, মা।
অন্ধমুনির বালকের মত আমার আত্মজা।
তাকে হারালে দ্রাঘিমাংশ জুড়ে শুধুই দ্রাক্ষারস।
সমুদ্র তো অনেক পথ গেলে
মুক্তিযুদ্ধ।
সান্ধ্য প্রদীপ জ্বালিয়ে, বৃষ্টির ধারায়
ছুটে যেতে যেতে বলেছিলাম মেখলা মেঘকুমারীকেও,
অনেক অনেক আলো তোমার এই পদ্মপাতায়।
সুখে থেকো।
টিনের ঘরে ” কালপুরুষ ” পুরুষটি
আকাশ থেকে নেমে এসে
গাইল যেদিন ” বৃন্দাবনী সারং “।
সলতে খানি নিভে যাবে ভাবি নি।
আমার সেই নোলক
মেঘের পালকে ভাসছিল
অনতিক্রম্য নিবিষ্ট সিন্দুকে।
আবার সেই নোলক,
বন্দর ও গড়েছিল মেঘ ও মেঘার খন্ড খন্ড
খাজুরাহো ঘনঘটায়
বৈচিত্র গুহাঘরে।
—oooXXooo—