আমার আর আজকাল চন্দ্রবিন্দু ভালো লাগে না। মাঝরাতে, অজান্তেই এক পশলা বৃষ্টি ঝরে যায়। সারাদিন ধরে সুখ সুখ শ্যালোঘর চেয়ে নেবে বালক বালিকা মেঘলা মরশুম। জামগাছটা তোলপাড়, ফিঙেপাখিটার ঠোঁটে নরম সাবানজলের বুদবুদ। শালবনের মাঠে, ঘাগড়ার মত তাঁবু ছড়িয়ে থাকা শীতকালীন অলিম্পিক সার্কাস। অনতিদূরে, আস্তাবলে ঘোড়া। আমি ফুটপাথ থেকে কয়েকটা রোদচশমা কিনে ফেলি। ঘুমের ভিতর আমার নীরব মুখ মৃদু হেসে ওঠে। চকিতে তোমার ঘুমে ভেসে আসে বাতাবির বন, পোষা বিড়ালের ওম, কৃষিকথার আসর। অবিশ্রান্ত অশ্রুর শেষে আমি বিষুবরেখার মত যদি সামান্যতম গোল ও হতে পারতাম এভাবেই জড়িয়েই থাকতাম, চারপাশ থেকে। প্রেমে তোমার ঐ ভ্যানগভের রঙ, ভাষালিপি আমার ও প্রিয় গুলমোহর। যদিও বা ছুঁইনি।