একথা সত্যি যেএকটা ব্রিজের ওপর দাঁড়িয়ে আছি! দূরপাল্লার বাস এখনো আসে নি ভেবো না থুতনিতে অভিমান জমিয়ে পাদানিতে পা রাখার ভারী ব্যস্ততা আমার!!
পারিপার্শ্বিকতা ভাবছে আমি সতত মালকোষে তান তুলছি নাঃ অযথা বিষাদের গন্ধধূপ ছুঁইয়ো না মুহুর্তগুলোয় লেমনগ্রাসের গন্ধ উপুড়ে বীত-ফ্রেমের স্মৃতিচারণে বুঁদ আমি ধোঁওয়া ওঠা কফিতে ধীরে ধীরে চুমুক সে চলে গেছে ঠিকই, অমাবস্যার ঘরে ফেলে যায় নি
গির্জাঘরের ঘড়িতে রাত বারোটার ঘ্ণটা পড়ল হ্যাঁ শোন সে যে স্ট্রবেরী গন্ধ টা আমার বুকপকেটে ভরে গেছে তার প্রেরণা য় আমি ক্যালেণ্ডার উলটে দিই আরো একটা সূর্য্য -ঘড়ি পরিক্রমায় তার ফেলে যাওয়া পশমী চাদরের উষ্ণতায়
প্রতিপদ বা পূর্ণিমায় নিজস্ব বৃত্তে বেঁচে থাকাটাই আমার কাম্যতায় অযথা অনুকম্পার বরফে আমাকে ঢেকে দিও না—–
পাঠকের অনুধ্যান :
শ্যামাপ্রসাদ সরকার
প্রতীক্ষমাণ মনখারাপ আর তার সার্থকতাই এই কবিতার প্রাণ। সুতপা দি’কে চিনি বলে জানি উনি তাঁর কবিতায় ভর করে সেই অনন্ত বন্ধনের পথে মুক্তি খুঁজে যান। আসলে বন্ধন হল তাঁর কাছে ব্যাপ্তিরই মোহমুক্তি।
“মুহুর্তগুলোয় লেমনগ্রাসের গন্ধ উপুড়ে বীত-ফ্রেমের স্মৃতিচারণে বুঁদ আমি ধোঁওয়া ওঠা কফিতে ধীরে ধীরে চুমুক সে চলে গেছে ঠিকই, অমাবস্যার ঘরে ফেলে যায় নি”
ফেলে না আসা অজস্র স্মৃতিযাপন তাঁর লেখার বিষয় বলে তিনি যেন আবদ্ধ না থেকেই অসীমের সন্ধানী। খুব সহজেই তাই তিনি বলতেই পারেন,
“তার প্রেরণা য় আমি ক্যালেণ্ডার উলটে দিই আরো একটা সূর্য্য -ঘড়ি পরিক্রমায় তার ফেলে যাওয়া পশমী চাদরের উষ্ণতায়”!
কবি এখানেই জিতে যান জীবননাট্যের অমলিন অঙ্গুলিহেলন সত্ত্বেও। ওঁর লেখার এই সহজগম্যতাই মনকে বার বার করে ছুঁয়ে যায়।
“প্রতিপদ বা পূর্ণিমায় নিজস্ব বৃত্তে বেঁচে থাকাটাই আমার কাম্যতায় অযথা অনুকম্পার বরফে আমাকে ঢেকে দিও না—–“