সেদিন হেমন্তের আকাশ প্রদীপ রাত্রি
আমি তখন ঘুমের মধ্যে গুটিসুটি
সে এল
এক হাতে তার পাহাড়
অপর হাতে অরণ্য
পায়ে নিরবতার নুপুর
অঙ্গ জুড়ে একাকীত্বের উজান
বহুদিন কোন ভ্রমণে যাইনি
পাহাড় -অরণ্য- নদী
যে পাহাড় টা
হৃদয় আর কথার উষ্ণতা দিয়ে তৈরি
যে অরণ্য টা
মনের সবুজ ঘাস আর
নিরবতার স্বরলিপিতে বাঁধা
যে নদীটা
আবেগের স্রোতে স্রোতে মন্দাকিনী
বেরিয়ে পড়লাম ভ্রমণে
সমতল ছেড়ে পাহাড়ে পা রাখতেই অরণ্য
সে অরণ্য জুড়ে খুশির মূর্ছনা
বাতাসের মুখে মাতাল করা গন্ধ
চড়াই উতরাই এ সে গন্ধ যেন
ঢেউয়ে ঢেউয়ে গঙ্গা যমুনা
পাহাড়ি অরণ্যের মধ্যে দেখা হল
ছোট্ট একটা নদী
ভিজে ঘাসের উপকূল
পা দুটো ভিজিয়ে দিলাম জলে
নাও বেয়ে যায় মন কেমন করা
বুঝলাম এটাই মোহনা
শেষে তার মহামিলন
বাঁক নিয়ে উপরে উঠতেই
একটা ঝর্ণা
আগুন ঝর্ণা
নেয়ে নিলাম
তারপর দেখলাম
আস্তে আস্তে রাঙা ভোর
পাহাড়ি চূড়াতে উঁকি দেয় সূর্য