অপলক
কাকলি ঘোষ
বাইরে বেরিয়ে আসতেই এক ঝলক ঠান্ডা হাওয়ায় জুড়িয়ে গেল শরীরটা।উফফ কি ভ্যাপসা গরম ভেতরে! বুড়িটা মহা ধুরন্ধর। কিছুতেই দিচ্ছিল না গয়নাগুলো। আরে এইজন্যই তো এতদিন ধরে ভালোমানুষ সেজে কাজ করেছে এখানে। এখন ছেড়ে দেবে? ধুস্!
সেই দিতেই তো হল।খামোখা ন্যাকড়াবাজি। শুধু আলতো করে একবার ছুঁইয়ে দিতে হল যন্তরটা।ব্যস। বুড়িটার গলাটা যেন মাইরি একদলা মাখন! আরামসে আলাদা করে দিল মাথাটা ধড় থেকে।
খুব বিশ্বাস করত কিন্তু বুড়িটা ওকে। একা থাকত তো। তাই ওকেই আঁকড়ে ধরেছিল। মরার আগে কিরকম অদ্ভুত ভাবে তাকিয়েছিল ওর দিকে! শালা দৃষ্টিটা যেন সরছে না গা থেকে। আঠার মত আটকে আছে সর্বাঙ্গে। আহ্ !
সমাপ্ত