নির্লিপ্ততার অন্তরালে
✍️ শিব প্রসাদ হালদার
নিতান্ত নিরুপায়ে নগ্ন নির্লিপ্ততার অন্তরালে
ওদের উপেক্ষা আর অবজ্ঞায়
অশোভন আচরণে উদ্ভূত ক্ষুব্ধ পরিস্থিতিতে
পঞ্চান্ন বছরের সাহিত্য-সাধনার মাঝে
এই প্রথম মনকে করেছে প্রচন্ড ক্ষতবিক্ষত!
বিবেকের দংশনে বারেবারে প্রশ্ন জাগায়-
মহান মানবিকতার সঠিক মূল্যায়নে
আত্মস্বার্থই যেখানে অগ্রগণ্য
একমাত্র ঈর্ষার বশে অপরের কুবুদ্ধিতে
চক্ষু লজ্জার মাথা খেয়ে
দিয়েছে যে জঘন্য সংকীর্ণ অমার্জনীয় পরিচয়,
ভালো মানুষের সঙ্ সাজতে গিয়ে মুখোশের উন্মোচনে ওরা আজ আর মানুষ নয়—
শুধু স্তুতির অভিনয়ে পেতে চায় সায়
পক্ষপাতের প্ররোচনায় যাদের পারেনি করতে পরাস্ত সেইসব নিরপেক্ষ সজ্জনেরা চাক্ষুষ দেখে শুনে
উপস্থিত উপলব্ধিতে বড্ড বিস্ময়ে বলিষ্ঠ কণ্ঠে বলে “এমনটা কি কখনো মন থেকে মেনে নেওয়া যায়–?
কৃত কুকর্মের দুর্নাম ঢাকার আপ্রাণ প্রচেষ্টায়
যাদের নেপথ্যের কারসাজিতে প্রলুব্ধ হয়ে আকাঙ্ক্ষিত বাহাদুরি দেখাতে গিয়ে
কুলি, লেবার, ক্রিমিনাল, “আঁড় না ভাঙ্গা” মন গড়া অবমূল্যায়নে অপপ্রচার চালিয়ে করেছে বিভ্রান্ত বিসর্জিত দুর্গা মণ্ডপের ভাঙ্গা চালায় ষষ্ঠীতলার নামে
এক নির্বোধ সহচরকে সঙ্গ দিয়ে লালকালিতে লিখিয়ে অপপ্রচারে করেছে আরও কলঙ্কিত!
তবুও, প্রত্যাশামতো পায়নি কিছুই-
পেয়েছে শুধু তাচ্ছিল্যে তিরস্কার
অবশেষে হাতে গোনা দু’একজন ‘অন্ধ’ পক্ষপাতীকে অতি কষ্টে পাশে নিয়ে
নির্লজ্জের মত যতই অনুরোধ জানাক বারবার
আমি কিন্তু আমৃত্যু জানিয়েই যাব
বুক ভরা ব্যথা নিয়ে শুধুই ধিক্কার—–!!
—oooXXooo—