হৃদয়ে রবীন্দ্র নাথ
মৃনাল কান্তি বাগচী
——–
শৈশবে বারে বারে দেখেছি তোমার ছবি
তখন বুঝিনি তুুমি বিশ্ব কবি।
তোমার ছবিতে মালা দিয়ে তখন দেবতা জ্ঞাণে পূজিতাম,
মানুষও দেবতার আসনে বসতে পারে যখন তোমাকে হৃদয় দিয়ে বুঝিলাম।
সাহিত্যের সব শাখায় তোমার রয়েছে যে অগাধ অবদান,
তার মূল্যায়ন করবার নাই বিন্দুমাত্র মোর যোগ্যতা মান।
সুখে দুঃখে তুুমি মোর জীবনের ধ্রুবতারা,
তোমার সাহিত্য সাগরে ডুবে হয়ে যাই আমি আত্মহারা।
মাঝে মাঝে একাকীত্বে যখন সময় কাটেনা আমার
তোমার “সঞ্চয়িতা” ও “গীতবিতান” হয় মোর প্রাণের দোসর।
একে একে কবিতা পড়ে একাকীত্ব থেকে পাই আমি পরিত্রাণ,
তোমার সৃষ্টি মোর কাছে সব থেকে মহান।
তোমার “গীতাঞ্জলি” কাব্যের জন্য আমাদের দেশে প্রথম নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলে তুুমি,
বাঙালী হিসাবে আজও গর্বিত আমরা মানি।
শুধু ভাবি আমি, কি করে মানুষের এত প্রতিভা হয়?
তুুমিতো আমার কাছে মানুষ নও, দেবতাই নিশ্চয়।
তোমাকে আমি বসায়েছি দেবতা জ্ঞাণে মনের মন্দিরে,
সারা জীবন প্রনম্য তুুমি আমার অন্তরের অন্তরে।
২৫ শে বৈশাখ, যতই ঘটা করে হোক প্রতিপালন তোমার জন্মদিন,
তুুমিতো আমার কাছে সব চেয়ে বেশী পূজ্য প্রতিক্ষণ প্রতিদিন।।।
———- ++++++ ———–