অনন্ত জগত ভূমি
রণজিৎ মন্ডল
আমি আমি আমি কর না আর বল না সব আমি,
লক্ষ কোটি বিন্ধু দিয়ে গড়া আশ্চর্য
জগত ভূমি,
এই ভূমির মাটি সেও যে আমার
মাতৃভূমি,
একটি বিন্দু মাটির কণা দেখ গুনে
শেষ হয় কি গুনি!
দেবদূতকে জিজ্ঞাসিছ, রচিয়াছো
কেমন জগত ভূমি?
চাও দেখিতে অনন্ত রচনা? আইস
সাথে তুমি।
মহাবিশ্ব দেবস্পর্শে আকর্ষণ মূক্ত
দেখো কেমন ভূমি,
যাত্রা করিয়া দেবদূত সাথে আকাশ
পথে দেখো অনন্ত চুমি,
উচ্চ হইতে উচ্চতর স্তর ভেদ করিলে
ক্রমে ক্রমে তুমি।
পশ্চাতে ফেলি সপ্তগ্রহ উপনীত হইলে
সৌরদেশের ভূমি!
মহাপাবকশিখা সূর্য্যের অগ্নিকুণ্ড দিয়াছে তোমায় ক্ষমি,
সৌররাজ্য ত্যাগ করিয়া তারকা রাজ্যে
তুমি!
সমুদ্রতীরস্থ বালুকণার ন্যায় তারকা
লও হে গুনি।
দক্ষিণে বামে সম্মুখে পশ্চাতে দৃষ্টি
সীমায় কোটি কোটি জগত ভূমি!
কোটি কোটি মহাসূর্য্য, কোটি কোটি
গ্রহ, চন্দ্র ভূমি,
উর্দ্ধহীন, অধোহীন,দিকহীন অনন্ত
ভূমি!
মনুষ্য আমি অবসন্ন হইয়া কহিলাম
দেবদূত তুমি,
প্রাণবায়ু মোর বাহির করিয়া দাও প্রভূ
ধূলিকণায় মিশি আমি!
অসহ্য এ অনন্ত ভার সহিছ কেমনে
তুমি?
এ জগতের শেষ কোথায় প্রভূ, কোথায়
শুরু ভূমি?
দেবদূত কহে, যাহার শেষও নাই আরম্ভও নাই, সেই তো জগত ভূমি!
লক্ষ কোটির একটি বিন্দু অনন্ত
জগত ভূমি,
সেই ভূমির লক্ষ্যকোটি কণার একটি
বিন্দু তুমি!
” অনন্ত জগত ভূমি “
রণজিৎ মন্ডল।
–~০০০XX০০০~–