না কবিতা
অমৃতা সাহা
ভাঙাচোরা শীত ঘুমে নিজেকে লুকিয়ে রেখেছি কতোকাল!
আপোষ আব্দারে গোড়া পচে শুকিয়েছে শালুক ফুল।
বড় শখ ছিলো তুমি খোঁপায় কলমির ফুল পরিয়ে দেবে।
অচেনা রাস্তায় নেমে আসবে একটা নীলচে গোধূলি।
আগে সুন্দর স্বপ্ন দেখতাম জানতো,
কিন্তু আজকাল স্বপ্নে দেখি একটা ধারালো করাত এগিয়ে আসছে ক্রমশ।
আমি পিছিয়ে যাচ্ছি অনবরত,
পিছিয়ে পড়ার শুরু যে সেই কবে থেকে,
আজ আর মনেও পড়ে না।
পিছিয়ে থাকা মানুষরা খুব গুরুত্বপূর্ণ,
নইলে তোমরা যে এগিয়ে, বাকিরা বুঝবে কেমন করে?
আমার পিছিয়ে থাকতে ভালো লাগে,
তাতে চোখে আলো পড়ে চোখ ধাঁধিয়ে যায় না,
কেউ হিংসে করে বলে না, তুই তো দিব্যি আছিস!
শুধু যদি ওই স্বপ্ন গুলো না দেখতাম!
যদি এমন হতো, ভোরবেলা, জানলার শার্সি তে ঠোকরাতো এক জোড়া ছাতারে পাখি।
ঠিক তখনই তোমার, আমার কথা মনে পড়তো।
আর ধারালো করাতটা ম্যাজিকের মতো ভ্যানিশ হতো এক নিমেষেই।
–~০০০XX০০০~–