বেঙ্গালুরুর ডি স্ক্যালেন নামক সংস্থা এই ডিভাইস তৈরি করেছে যা দেখতে ছোটখাটো ড্রামের মতো। ঘরে, অফিসে, দোকানে, হোটেলে বা যে কোনও বড় জায়গায় লাগিয়ে রাখা যাবে। এর থেকে যে ইলেকট্রনের স্রোত বের হবে তাই করোনাভাইরাসের সংক্রামক প্রোটিনগুলোকে নিষ্ক্রিয় করে দেবে।
হাঁচি-কাশির জলকণায় করোনা থাকলে শুষে নেবে। ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনগুলোকে নিষ্ক্রিয় করে দেবে। অনেকদূর অবধি এলাকাকে স্যানিটাইজ করতে পারবে। করোনা মারার নতুন ডিভাইস তৈরি করেছেন বেঙ্গালুরুর বিজ্ঞানীরা। অফিসে, স্কুল-কলেজে, শপিং মলে, হোটেল-রেস্তোরাঁ বা এয়ারপোর্টে লাগানো যাবে এই ডিভাইস। মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এই ডিভাইস ব্যবহারে অনুমতি দিয়েছে।
বেঙ্গালুরুর ডি স্ক্যালেন নামক সংস্থা এই ডিভাইস তৈরি করেছে যা দেখতে ছোটখাটো ড্রামের মতো। ঘরে, অফিসে, দোকানে, হোটেলে বা যে কোনও বড় জায়গায় লাগিয়ে রাখা যাবে। এর থেকে যে ইলেকট্রনের স্রোত বের হবে তাই করোনাভাইরাসের সংক্রামক প্রোটিনগুলোকে নিষ্ক্রিয় করে দেবে। ফলে ভাইরাসের ট্রান্সমিশন বন্ধ হবে। এই ডিভাইস ৯৯.৯% ভাইরাস মারতে পারবে এমনটাই দাবি করেছেন সংস্থার চেয়ারম্যান ডক্টর রাজেশ বিজয় কুমার।
মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) এই ডিভাইস ব্যবহারে ছাড়পত্র দেওয়ার পরে ইউরোপ, আমেরিকা, মেক্সিকোর অনেক সংস্থাই এটি তৈরি করার জন্য লাইসেন্স চেয়েছে, এমনটাই বলেছেন সংস্থার কর্ণধার রাজেশ কুমার। ভারতের কয়েকটি কোম্পানিকেও এই ডিভাইস তৈরির লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে।
কীভাবে ভাইরাল প্রোটিন নিষ্ক্রিয় করতে পারবে এই ডিভাইস?
ডক্টর রাজেশ বলেছেন, এই ডিভাইসের নাম হল শাইকোকান-স্ক্যালেন হাইপারচার্জ করোনা ক্যানন। এই ডিভাইসের কাজ হল একাধারে ফিল্টারের মতো যা বাতাস থেকে ভাইরাল পার্টিকল ছেঁকে বার করতে পারবে, অন্যদিকে কোনও পদার্থ বা সারফেসে জমে থাকা ভাইরাসের স্পাইক (S) গ্লাইকোপ্রোটিন নষ্ট করে দিতে পারবে।
ভাইরাল ট্রান্সমিশন বা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া আটকাতেই এই ডিভাইস তৈরি হয়েছে। করোনা এয়ারবোর্ন কিনা সে বিষয়ে নিয়ে বিস্তর তর্ক-বিতর্ক রয়েছে। তবে আরএনএ ভাইরাল স্ট্রেন মানুষের মুখ নিঃসৃত জলকণার মাধ্যমে বাহিত হতে পারে। বাতাসের গতি, আর্দ্রতা, তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে এই জলকণার মধ্যে থাকা ভাইরাল স্ট্রেন অর্থাৎ ভাইরাস ড্রপলেট ৬ ফুটের বেশি দূরত্ব বাতাসে ভেসে যেতে পারে, গবেষণায় এমনটাই দাবি করেছেন নানা দেশের বিজ্ঞানীরা। এই দূরত্ব কখনও ১৫ ফুটের বেশিও হতে পারে। যে মুহূর্তে জলকণা আর ভাইরাল স্ট্রেন ধরে রাখতে পারে না, সেটা তখন খসে পড়ে এবং মাটিতে বা কোনও সারফেসে জমে থাকে। ডক্টর রাজেশ বলছেন, এই ডিভাইস বাতাসে ভেসে থাকা ভাইরাল ড্রপলেট নষ্ট করে দিতে পারে, আবার সারফেসে জমে থাকা ভাইরাল স্ট্রেনের স্পাইক প্রোটিনও নিষ্ক্রিয় করে দিতে পারে। স্পাইক প্রোটিন যদি নিষ্ক্রিয় হয়ে যায় তাহলে আর ভাইরাস মানুষের শরীরের কোষে ঢুকতে পারবে না।
ভাইরাল প্রোটিন নষ্ট করার জন্য চার্জড পার্টিকলকে কাজে লাগায় এই ডিভাইস। এর থেকে ইলেকট্রনের স্রোত বের হয়। প্রতি সেকেন্ডে ১০-১০০ ট্রিলিয়ন ইলেকট্রন নিঃসৃত করে এই ডিভাইস। প্রতি মিনিটে যা ৬৪ ঘন ফুট অবধি ছড়িয়ে পড়তে পারে। বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে তৈরি হয় ইলকেট্রন ক্লাউড। এর মধ্যে কোনও ভাইরাল স্ট্রেন পড়লে সেটা সঙ্গে সঙ্গেই নষ্ট হয়ে যায়। সংস্থার গবেষকরা বলছেন, এই ডিভাইস একবারে ২০ থেকে ১০০ বর্গমিটার অবধি এলাকাকে স্যানিটাইজ করতে পারে।
মারকেটিং মেডউইন হেল্থকেয়ার সংস্থার কর্ণধার ধ্রুবজ্যেতি জানিয়েছেন আগামী 15 August 2020 মধ্যে এই যন্ত্রটি বাজারে নিয়ে আসার চেষ্টা করছেন।
—-০০০ XX ০০০—-