মগ্ন আলোকবৈভব
“স্বাগতা ভট্টাচার্য”
********************
একতারাতে সুর সাধতে সাধতে হঠাৎই একটা বাউল জীবন সংগোপনে আলোকিত ভোর হয়ে উঠলো অন্ধ তিমিরে….
যতোবার ভেবেছি মেঘের পিঠে লিখবো অনাদি বিষাদ
ততোবার রামধনু রঙ আঁকড়ে ধরেছে প্রজাপতি ডানা।
দ্যাখো, অনুযোগটুকু মিটে গেলে নাহয় পাঠিও একখানা মিথ্যে চিরকুট বিষণ্ন বিহগের ঠোঁটে।…
ধ্বংসের দায়টুকু আগলে নেব উদাসীন পাঁজরে।….
তারপর মনস্তাপ শেষ হলে ধুয়ে ফেল নিষ্ঠুর জঞ্জাল।
আসন্ন ভ্রান্তিটুকু ভেসে যাবে সহজিয়া নদীর শীতল গহ্বরে।….
টিপটিপ বৃষ্টিতে স্নান সেরে নিক অরণ্য গোধূলি।
অভিমানী দুটি চোখ ভিজে যাক আশ্চর্য বৃষ্টিসুখে।….
এইবার বন্ধ হোক তুমুল প্রলয় !
যাবতীয় লেনদেন শেষে আদরের বুকে বাসা বাঁধুক ক্লান্ত শর্বরী।…
মহাশূন্যের সব জ্যোতি নিভে গেলে কঠিন তপস্যা ভেদ করুক মৌন সন্তাপ,
ধ্যানযোগ শেষ হলে অনাড়ম্বর কর্মযোগে ফুটে উঠুক মগ্ন আলোকবৈভব।…..
–~০০০XX০০০~–
রুদ্ধবাক !!!