হিমফুল
——-
চন্দ্রাণী গোস্বামী
এক…
ঠিক বাম বুকের উপর
প্রথম চুমু খেয়েছিলে
দিল আজও হুম হুম করে…
এক দুই তিন করে
বহু পার্বণ পেরিয়ে এলেও
ধান-ফুলের সেই সম্পন্ন লজ্জা
গোপন করে ধড়কন , এখনও।
অনন্ত… তবু অনন্ত জাগে…
মধ্যরাতে গাগরিতে ভরে নিয়ে
যে চাঁদ খেলো তুমি
চূড়ান্ত বিষে আজও কি
পাতাভর্তি মেঘে থৈ থৈ আলো জমে
এবং তোমার ‘সে’ সিকি সিকি ভাঙে !
ব্যাস। এই জিজ্ঞাসাটুকুই…
দুই…
বলেছিলে, এ আমাদের মধুর মাথুর, অ-বিষাদবাস
এখন একলা দুপুর, বিজনবিহারী পাঠাগার, দূর শহর
আর মাঝে মাঝে দূরের ইস্টিশনের দিকে চোখ পাতা
এসব দুপুর ঝিলের চেয়েও গভীর
বৃষ্টি এসে ভেজায় অন্তর্বাস, ভেজে আমাদের পরবাস
নিভে গেছে সব চাওয়া? প্রথম চুমু? নিকোটিনের গন্ধ?
হাতে সুবোধ প্রেম গাঁথা
অল্প দুঃসাহস জমিয়ে বুকের পশমে আলতো তাকাবার!
এই বিরহে বসন্তের ছোঁয়াচ কাটিয়ে উঠতে আমার
কান্না পায়। তোমার…!
এখন পলাশ জড়ো করি আগামী বসন্তের জন্য
তুমি ফিরে আসতে আর না পারলেও
তোমার করতল ঢেকে দিতে যতটুকু লাল প্রয়োজন
সারাটা বছর সেটুকু আমার বুকে
সিঁদুরের মতো লেগে থাকে…
–~০০০XX০০০~–