দহন
****
শ্যামাপ্রসাদ সরকার
তোমায় দেখে আগুন ভেবে
মন উচাটন ইচ্ছেমতন
হাতখানি তাই বাড়িয়েছিলাম !
সারা দেহে অগ্নিদহন..
ঝলসে যাচ্ছে মাংসপেশী
প্রলাপ বকছি অনেক বেশী!
লুকিয়ে দেখছি গোলাপকাঁটা
চুলের ফিতে, আর আয়নাটা,
ভাপ লাগছে চোখে মুখে
আগুন জ্বলছে তীব্র দহনসুখে!
তুমিও তখন জ্বলতে জ্বলতে
অবাধ্যতায় গলতে গলতে
আমায় দিলে একটুখানি তাপ!
ওই হুতাশন নাছোড়বান্দা,
অবাধ্যতায় জ্বলছে দেখছ
দিনের মধ্যে আঠেরোঘন্টা
সুখ তো নয়! পুড়ছে হৃদয়,
ছান্দসিকের গৃহস্থালির
টগবগিয়ে উড়ছে ধোঁয়া!
বিলাপ করি, আলাপ হলে
যেত কি আর একটু ছোঁয়া !
পুড়ছি আমি ! পুড়ছে সত্ত্বা
তোমায় ঘিরে সবটা ধোঁয়া!
পেলাম তো সেই অবশেষে
অনেক বাধাই সর্বনেশে
নিয়েই নিতো ত্রস্ত জীবন,
সব ক্ষণিকের বাসনাযাপন!
কিন্তু….
কোথায়! পেলেম তো না !
বাধ্য মেয়ে সমাজকাঁথায়?
কেন হারালে? আয়নাতে কি দেখছ মুখ
বলো, এই বিভ্রম তোমায় মানায়? তোমায়?
দহনসুখে হারিয়েছো মেয়ে
পরশমানিক ছেঁড়া কাঁথায়!
–~০০০XX০০০~–