অত্যাশ্চর্য জল-চিকিৎসা
জাপানীজ সিকনেস অ্যাসোসিয়েশন ‘দূরারোগ্য রোগ ও অসুস্থতা দূর করবার জন্য একটি খুব সহজ সরল উপায় জল-চিকিৎসা’ সম্বন্ধে একটি প্রবন্ধ লিখেছে। এই চিকিৎসা আমি করেছি ও উপকার পেয়েছি। এখানে এই চিকিৎসা অনেক কিছু কিছু উপকার পেয়েছেন এবং সাধারণভাবে তাঁদের শরীরেরও উপকার হয়েছে। ঐ প্রবন্ধে উক্ত চিকিৎসায় অনেকের উপকার হতে পারে ভেবে এটি ‘উদ্বোধন’- এ প্রকাশের জন্য পাঠালাম।
চিকিৎসা -পদ্ধতি
নিয়মিত বিধান অনুযায়ী এই জল – চিকিৎসা করলে নিম্নোক্ত মারাত্মক ব্যাধির কবল থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যেত পারে, যেমন -( ক) মাথাধরা, রক্তচাপ,রক্তাল্পতা, বাত, পক্ষাঘাত, হৃদরোগ ও মৃগী। (খ) কাশি, শ্বাসনালী সংক্রান্ত ব্যাধি, যক্ষ্মা। (গ) মেনিনজাইটিস, যকৃত, বৃক্ক ও মূত্রনালীর রোগ। (ঘ) রক্তচাপ, আমাশয়, কোষ্ঠকাঠিন্য, অর্শ (ভগন্দর)। (ঙ) চক্ষু -সংক্রান্ত রোগ। ( চ) শ্বেতাস্রাব প্রভৃতি বিভিন্ন স্ত্রীরোগ ও জরায়ুর ক্যান্সার। (ছ) কান, নাক ও গলার রোগ।
পান -পদ্ধতি
সকালে ঘুম থেকে উঠে মুখ না ধুয়ে 1.260 লিটার (বড় গ্লাসের প্রায় চার গ্লাস ) জল পান করবেন। এরপর 45 মিনিটের মধ্যে আর কিছু পান করবেন না, খাবেনও না। তবে উক্ত জলপানের পর দাঁত মাজতে পারেন। সকালের জলখাবার এবং দুপুরে ও রাত্রে খাওয়ার নরে অন্ততঃ 2 ঘন্টার মধ্যে জল পান করবেন না। রাতে শুতে যাওয়ার আগে কিছু খাবেন না। যাঁরা শারীরিক তত সবল নন এবং একসঙ্গে চার গ্লাস জল পান করতে পারবেন না, তাঁরা এক বা দু গ্লাস জল আরম্ভ করে ক্রমে বাড়িয়ে চার গ্লাস করবেন। কিন্তু জল পানের এই পদ্ধতিটি ছেড়ে দেওয়া ঠিক হবে না। সুস্থ অসুস্থ – সকলেরই এই পদ্ধতিটি পরীক্ষা করে দেখা উচিত। প্রথমোক্তরা সুস্থ থাকার জন্য এবং অসুস্থরা আরোগ্যলাভ করার জন্য ।
প্রমাণিত হয়েছে যে, এই চিকিৎসায় রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার -1 মাসে, পেটের গোলমাল ও কোষ্ঠবদ্ধতা – 10 দিনে এবং যক্ষ্মা -3 মাসে নিরাময় হয়। যাঁরা রাত ও গ্রন্হিবাত (আর্থ্রাইটিস) -এ ভোগেন, তাঁরা এক সপ্তাহে দিনে দুবেলা করে পরে একবার করে এই চিকিৎসা করবেন।
এই অতি সহজ চিকিৎসা পদ্ধতিতে কোন পয়সা খরচ করতে হয় না। কিন্তু হাজার হাজার লোক উপকৃত হতে পারেন। নানাপ্রকার কঠিন দুরারোগ্য ব্যাধির কবল থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য অধিক সংখ্যক লোকের মধ্যে এই চিকিৎসাপ্রণালী প্রচার করতে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। বেশি জল পানের কোন কুফল নেই। প্রথম প্রথম অবশ্য জল পানের পরে 2/3 বার প্রস্রব করতে হতে পারে, কিন্তু তারপরে এরূপ জল পান অভ্যাসে দাঁড়িয়ে যাবে।
আমার মনে হয়, সকসেই এই চিকিৎসা – পদ্ধতি পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। আমার বিশ্বাস, ধৈর্য ধরে চালিয়ে গেলে এতে উপকার পাওয়া যাবেই।
স্বামী বিদ্যানন্দ
রামকৃষ্ণ মিশন হোম অব সার্ভিস
লাক্সা, বারাণসী
পিন -221010