(আমরা পত্রিকার পক্ষ থেকে সবাই আপনার দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।)
হে অরণ্য ! হে বিষাদ অগ্নি
**********************
✍ শ্যামাপ্রসাদ সরকার
অরণ্যের আগুনে পুড়িও,
বিষাদের শালবৃক্ষ আমার!
এ দেহটুকুই তো অাছে,
অনির্বাণ হুতাশনকে দেব বলে
সুগন্ধী কস্তুরীঘ্রাণ মেখে শুয়ে আছি,
অনাঘ্রাত নাভীমূলে, গোপনে..
অন্তিমদহনের আগে যদি চোখের ওপর
রেখে দাও লালাসিক্ত চুম্বনঘ্রাণ,
অথবা অগুন্তি শবের ওপর যেমন,
দীঘল ছায়ার মত প্রোজ্জ্বল অগ্নি..
সম্মোহিত করেছে চিতাকাষ্ঠের পৌরুষ!
বেঁচে থাকার চেয়েও মৃত্যু জরুরী হলে,
খরশান হাওয়ায় এনেছ ছাতিমের বন্য আঘ্রাণ,
যেমন তর্জনী তুলে একদা শাসন করেছ
তেমনি তিলাঞ্জলি দিতে গিয়ে বদ্ধ করেছ মুঠি….
অরণ্যের আগুনে পুড়িও আমায়
বিষাদের শালবৃক্ষ দেহখানি,
এরপর যত স্থাবর অস্থাবর প্রেমজ অঙ্গীকার,
ফুৎকারে উড়িয়ে দিও ধূসর ছাই এর মত,
যেমন নৈঃশব্দে প্রেমে দিয়েছিলে নতজানু হওয়া
সুতীব্র কামনার আহবানটুকু ! পুড়ে যেতে যেতে !
—০০০::XX::০০০—