“কবিতা নক্ষত্রগামী”
✍ ডঃ বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়
(উৎসর্গ: শান্তনু বন্দোপাধ্যায়)
দ্বিধাপলকের মাঝে মুছে যায় জীবিতের মুখ
যেন এই পৃথিবীর বিপ্রতীপে একাকী নিভৃত
তুমি ছিলে দোলাচলে, যেন এক ভীত আগন্তুক
যেভাবে যুবতী জানে স্পর্শে কার বেড়ে যেত শীত।
আনন্দনগরী জুড়ে বাজি আর ক্ষোভের তর্জনী
কুয়াশা গভীর তবু অন্ধকারে জ্বলে ওঠে দ্বীপ
ভুল নামে কেউ ডাকে, এইবার জ্বালান প্রদীপ
যারা মৃত তাদের দিগন্তে আজ অক্ষরের যোনি।
মৃত নক্ষত্রের আলো ছুঁয়ে যায় মীড়ের মল্লার
তারপর অতর্কিতে ঘুম এসে মুছে দেয় আলো
আলগোছে ছুঁয়ে থাকা মহাবোধি বৃক্ষের ছালট
হাওয়া যেন দোলা দেয় মেহগনি কাঠের পাল্লায়।
জীবিতের রক্তক্ষুধা যদি আজ স্পর্শ করে থাকে
কোলাহল স্তব্ধ হলে খুঁজে নেবে কবিতা তোমাকে !
¤●¤●¤●¤●¤●¤●¤