পড়ার খরচ চালাতে কুমারিত্ব বিক্রি
নিজের কুমারিত্ব বিক্রি কথাটা শুনতে অবাক লাগে। কিন্তু বর্তমান বিশ্বে যেন এটা খবরের শিরোনামে পরিণত হয়েছে। এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে সম্প্রতি।
এক মার্কিন তরুণী নিজের পড়াশোনার খরচ চালাতে তার কুমারিত্ব বিক্রি করলেন। জিসেল নামের ওই ছাত্রী পার্ট টাইমে মডেলিং করেন।জিসেলের দাবি, আবুধাবির এক ব্যবসায়ীর কাছে ৩০ মিলিয়ন অর্থাৎ ৩০ লাখ ডলারে কুমারিত্ব বিক্রি করেছেন তিনি। বাংলাদেশি টাকায় যার মূল্য আনুমানিক ২০ কোটি টাকা। জিসেল জার্মানির একটি এসকর্ট ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিলামে তুলেছেন তার ‘ভার্জিনিটি’।জানা যায়, আবুধাবির ওই ব্যবসায়ী সব চেয়ে বেশি দামে কিনে নেন জিসেলকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দাম দিতে চেয়েছিলেন হলিউডের কোনো এক অভিনেতা। তৃতীয় সর্বাধিক ১৮ লাখ ডলার দাম দিতে চেয়েছিলেন এক রাশিয়ান রাজনীতিবিদ। তার দাম ছিল ২৪ লাখ ডলার। মাত্র ১৯ বছরের ওই মডেল নিজেই একটি ভিডিও আপলোড করেছেন। সেখানেই তিনি ব্যাখ্যা দিয়েছেন যে নিজের স্কুলের পড়াশোনা চালানোর জন্য ও ভবিষ্যতে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরার জন্য ওই টাকা তুলেছেন। তিনি আরো বলেন, নিজের শরীর নিয়ে সে কি করবে না করবে সেটা সম্পূর্ণ তার ব্যাপার। জিসেল বলেছেন, আমি ভাবিনি যে নিলামে এত দাম উঠবে। স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মত ঘটনা।
বউ ভাড়া পাওয়া যায় যে গ্রামে
টাকার প্রয়োজনে অনেকে অনেক কিছুই করতে হয়। তবে ব্যতিক্রমী কিছু ঘটনাও ঘটে যেগুলো টাকার জন্য করা হয়। আর আমরা এও জানি ব্যতীক্রম কখনও উদাহরণ হতে পারে না। তাই বলে যে গ্রাম সবাই একই ঘটনা ঘটায় সেটাতো আর ব্যতীক্রম হতে পারে না। যে গ্রামের কথা বলছি সে গ্রামে বিয়ে না করে বউ ভাড়া করে দাম্পত্য জীবন কাটান গ্রামের পুরুষরা। ভারতের মধ্যপ্রদেশের শিবপুরি জেলার একটি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চলছে এমন নিয়ম।
সাধারণত ধনী পরিবারের ব্যক্তিরা এসে শিবপুর গ্রামের মহিলাদের ভাড়া করে যান। ভাড়ার সময়সীমা এক মাস থেকে প্রায় এক বছর পর্যন্ত। বউ ভাড়া নেয়ার বিষয়টি আইনগতভাবে বৈধ করতে স্ট্যাম্প পেপারে চুক্তিও করে নেয় তারা।প্রথা অনুযায়ী, সময়সীমা শেষ হয়ে গেলেও কোনও ব্যক্তি মহিলাদের স্বামীর সঙ্গে ফের চুক্তি করতে পারে। চুক্তি শেষ হয়ে গেলে মহিলাদের তাঁদের স্বামীর কাছেই ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়।গ্রামের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো নারীকে ভাড়া করে স্ত্রী হিসেবে নিজের কাছে রাখা নারী কেনাবেচার সমতুল্য। কিন্তু ভারতের মধ্যপ্রদেশের শিবপুরি জেলার গোয়ালিয়র ডিভিশনে এ নিয়ে কারো কোনো মাথাব্যথা নেই কারণ এই রেওয়াজ দীর্ঘদিনের। এলাকায় এ প্রথাকে ধাদিচা প্রথা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
<÷><÷><÷><÷>