কলম হল লেখালেখির একটা প্রধান উপকরণ যা কাগজ বা কোনো পৃষ্ঠতলে করে কালি লেপন। বলপয়েন্ট,ঝর্ণা,ফেল্ট-টিপ,জেল,খাগ,পালক কত শত রকমের কলমে ভরা আছে এই ধরাধাম।
ফাউন্টেন কলম নাম পেল ঝর্ণা কলম কুইল নাম পেল পালকের কলম। কলমের ইতিহাস পাঁচ হাজার বছরের পুরাতন প্রাচীন মিশরীয়রা সর্বপ্রথম কলম ব্যবহার করতেন
কলম হিসাবে তখন ছিল বেণু, বাঁশের কঞ্চি বা নলখাগড়া লেখায় ব্যবহার হত গাছের পাতা,বাকল বা পশুর চামড়া। ফাঁকা খন্ডগুলি সুঁচালো করে কাটা হত সুঁচালো অংশটি কালিতে চালিয়ে লেখা হত।
কলমের নিবের উপর ভিত্তি করে এর নামকরণ হয় বিভিন্ন উপাদানে তৈরি কলম বিভিন্ন প্রকৃতির হয়। বলপেনে থাকে পিতল,স্টিল বা টাংস্টেনের ছোট্ট বল ঝর্ণা পেনের নিবে থাকে মাঝ বরাবর সূক্ষ্ম ফাটল।
কলমের কালিও বিভিন্ন প্রকৃতির ও উপাদানের হয় বলপেনের কালি ঘন ও কাগজের সংস্পর্শে শুকিয়ে যায়। জেলপেনের কালি অপেক্ষাকৃত কম ঘন হয় ঝর্ণাপেনের কালি পাতলা যা কাগজ সহজেই শুষে নেয়।
বলপেন ও ঝর্ণাপেন দুই-এর সুবিধা পেতে উজ্জ্বল কালি বিশিষ্ট জেলপেনের সূত্রপাত ঘটে। ফাউন্টেন নাম বদলে ঝর্ণাকলম দেন রবি ঠাকুর লেখা ও আঁকা হাইলাইট করতে ব্যবহৃত হয় মার্কার।
কাজের সুবিধায় কলম ও কালির রূপান্তর ঘটে বারবার কলমের জোরে আবার মানুষ দেখিয়েছে ক্ষমতা তার। কলম ধরেছে নানান মানুষ নানা কাজের দরুন অসামাজিক মানুষের হাতে পরে কলমের অবস্থা করুণ।
ছাত্র-ছাত্রীরা কলম ধরে নিজেদের ভবিষ্যত গড়তে শিক্ষক-শিক্ষিকারা কলম ধরে সমাজের ভীত তৈরি করতে। অফিস-আদালতে কলম ব্যবহার হয় কাজের খসড়া তৈরিতে কলম তুলে নেন বিচারপতি আসামীদের সাজা দিতে।
দুর্বিপাকে পরেন বিচারপতি অপরাধীর কঠোর শাস্তিতে বিচারের শেষে একবারও ভাবেনি সেই কলম ভেঙ্গে দিতে। অন্যায় অপরাধ দিনদিন যত বারে সমাজে প্রতিবাদী মানুষেরা কলম তুলে নেয় হাতে সহজে।
রুখতে পারে কি তাকে সে কলম চলে নির্ভীক ভাবে থামতে জানেনা সে শত আঘাতে কষ্টে বা অভাবে। গর্জে ওঠে সমাজে ঘটে যাওয়া প্রতিটা অন্যায়ের প্রতিবাদে ঝরিয়ে যায় তার শোণিত ধারা প্রতিটা অত্যাচারের বিরুদ্ধে।