পুরুষ তোমার অসীম শক্তি ধৈর্য্য কিংবা বলে সকল দুঃখ-কষ্ট তুমি সহ্য করো মুখটি বুঁজে, লুকিয়ে রাখো সকল ব্যাথা পরিবারের চোখ এড়িয়ে আপন পরিবারকে তুমি আনন্দেতে দাও ভরিয়ে।
পুরুষ তুমি বড়ই গুণী দেখাতে তোমার নানা কৌশল বাইরে তুমি যতই কঠোর অন্তরেতে খুবই কোমল, বিশ্ব মঞ্চে শ্রেষ্ঠ করে তুলতে গড়ে নিজ সন্তানদের সর্বহারা হয়েও তুমি অশ্রু ঝরাও আনন্দের।
পুরুষ যে গো এই সমাজে হয়েছো খুবই দায়িত্ববান খুব সহজেই ধরে ফেলো ছোট-বড় সকল ব্যাপার, চাও যে তুমি সচ্ছ্বলতায় সংসার গাড়ির চাকা ঘোরাতে সংসারের সব দায়িত্ব ভার একাই তুমি তোলো কাঁধে।
পুরুষ তুমি চোখে মুখে হও যে বড়ই মিথ্যাবাদী সারা দিনটা অফিসে চলে বসের ফাই ফর্মাস খাটি, হাড়ভাঙ্গা খাটুনিতে যেন জীবন ছোটে উর্ধ্বশ্বাসে অথচ দেখাও বন্ধুমহলে কাটছে যে দিন বিন্দাসে।
পুরুষ তুমি বড্ড বোকা তোমার মেয়ের কাছে যতই থাকো ব্যাস্ত কাজে একটু যদি কাঁদে কাজকর্ম ফেলে রেখে অমনি নাও কোলে তুলে চাঁদ দেখিয়ে চাও ভোলাতে তাকে বাড়ির ছাদে ঘুরে।
পুরুষ তোমার হৃদয় পাষাণ অন্যায়েরই প্রতিবাদে কঠোর হাতে শাসন করো দুষ্ট বুদ্ধির মানুষটাকে, আবার ব্যাস্ত প্রতিপালনে অসহায় সব মানুষজনকে শিশু সুলভ মনটা তোমার পালন করো অন্তরেতে।
এমনও কিছু পুরুষ আছেন এখনও এই বিশ্ব মাঝে হীন মনোভাব বোঝে তারা পুরুষত্ব তার ধর্ষকামে, হয় যে তারা খুবই পটু জুলুমবাজী আর জোচ্চুরিতে তারাই আবার এই সমাজের পরিকাঠামোর মাথায় থাকেন।
সমাজের কাছে এমন পুরুষ নয়তো মোটেই কাম্য তোমার-আমার ঘরের পুরুষ হয় যেন সব নমস্য, নাইবা থাকুক প্রাচুর্য্য আর নাইবা আসীন মসনদে আসীন থাকুক এমন পুরুষ আপন হৃদয় মসনদে।