দিন আর কাটেনা
শ্রেয়সী মিশ্র
প্রতিটি মানুষের জীবনে একটি দুঃখের দিন আছে থাকে, আমার জীবনে এমন একটি দুঃখের দিন আছে, সেটা হল ১৮ই জানুয়ারী, সেদিন চোখের জলে ভেসেছিল আমাদের স্কুল বাড়ি। দেখে খুব হিংসা হয়েছিল, সেদিনই ওয়ানের মেয়েরা ভর্তি হয়েছিল । ইচ্ছা করছিল আবার ওয়ান থেকে ভর্তি হতে, খুব কান্না পাচ্ছিল। ছোট করে ফেয়ার ওয়েল করতে তনুজা দি এসেছিলেন, মনে পড়েছিল তখন প্রদশর্নির কথা। তিনি গাইছেন,
বর্ষা রানী রাগ করেছে
আজকে সে চুল বাঁধবেনা ঠিক তখনই মনে হয়েছিল আমাদের মেঘ জল ধরতে পারে নি। মনে পড়েছিল আগের চার বছরের কথা। আর সেই ছোট ছোট খুনসুটি, আনন্দ, বকার কথা। Sohinidi- এর ক্লাসে সব সামনে গুতো গুতি করে বানাতাম অশান্তি নিকেতন, মা বলতেন- Simontidi নাকি আমায় আদরে বাদর করতেন, সত্যিই 4-এ যেন আমরা একটা অন্য আদর পেয়েছি, পেয়েছিলাম একটা নতুন পরিবার দিদি তনুজাদি আপনার কাছে একটা অনুরোধ আছে, আপনার কাছে ওই গানর শুনব, ঠিকাছে? আর শর্মিষ্ঠা দি আপনি কী আমাদের আপনার বাড়ি নিয়ে যাবেন? Simonidi আপনার সঙ্গে আমাদের বিড়ার বাড়ি যাব, দিদি জানেন সীমন্তিনী কু্ই্যজ -এ চান্স পেয়েছে। শ্রেয়সী রায় আমাকে খুব বিরক্ত করেন, ওকে একটু বকে দেবেন? দিদি আপনারা কেমন আছেন? নিশ্চই ভালো আছেন। আমি কিন্তু ভালো নেই আপনাদের ছেড়ে তাই তো বলছি মায়েদের একটু বকে দেবেন? আমাদের নিয়ে যায়না ওখানে। খুব বললে শেষে একটুনিয়ে যায়,জানেন? আমরা আপনাদের ছেড়ে ভালো নেই। তাইতো মাঝে মধ্যে উন্মাদের মতো ওখানে ছুটে যাই। গিয়ে ইচ্ছে করে জড়িয়ে ধরতে, ধরে অনেক কাঁদতে।