অর্থ অজ্ঞাত—অথচ
(রবীন্দ্রনাথের প্রতি রক্তিম শ্রদ্ধাঞ্জলি)
অরবিন্দ নাহা
নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গে জাগরণ তখন—–
কবির হৃদয়ে জগত ও জীবনের
সৌন্দর্য- সুষমা- সুরভিত- স্নিগ্ধ স্পর্শ
আর আমার জাগরণ
বুকের ইঞ্জিনটার নির্লজ্জ শব্দে
একান্তই আকস্মিক ভাবে
এবং…….. একই সঙ্গে মৃত্যু।
এখন আমার বাসি মাছের
ভ্যাটভেটে চোখ
তাই পরম সম্পদ
মাছির ভনভন
যেন ভ্রমরের গুঞ্জন,
মরা মুখে
লোভার্ত পিঁপড়ের সারি
দম বন্ধ—–
যেন ফুলে ফুলে মৌমাছি
তারই সুবাস আমার অঙ্গে।
নারকীয় মত্ততা
রবির কিরণে
আরো উদ্ভাসিত—–
পৃথিবীর রমনীয় সৌন্দর্য
আর উলঙ্গ বেকার জীবন
সহোদর ভাই।
আমার হৃদপিণ্ডটা
যেদিন আবিষ্কার করলাম
সেলিমের দোকানে
লাল টকটকে
সেদিনই আমার মৃত্যু হয়েছে,
আর দেখিনি
তার সঙ্গে কি ছিল,—
সম্ভবত ছালহীন একটা
উলঙ্গ জীব
কে জানে তার বুকেও
এমনি একটা ইঞ্জিন ছিল কিনা!!
সেই পুতিগন্ধময় চোখে
আমি দেখেছি——
——শতাব্দী গত প্রায়,
তবে দুঃখ এই
আজও জানিনা
এ দেখার অর্থ কি !?
—oooXXooo—