অনন্যা
অরবিন্দ নাহা
শ্রাবণের ভরা নদীর মতো
টুইটম্বুর যৌবন নিয়ে
মরলো অনন্যা ।
এই সেদিনও
রাস্তায় প্রণাম করে বলেছিল,
পাস করবো তো মাস্টার মশাই ?
মা কাঁদলো, বাবা কাঁদলো
পাড়া-প্রতিবেশী সময় করে
সান্ত্বনা দিতে এলো ,
পাশের ক্লাবের
ছেলে জুটলো অনেক
হলোই বা মড়া
শরীরটা তো বাইশে ভরা !
তাছাড়া
বাড়ীতে আরো দু’টো
মেয়ে আছে —–তাজা।
থানা মর্গ হয়ে শেষ বারের মত
বাড়ি এলো অনন্যা
উপচে পড়া ভিড়কে সঙ্গী করে,–
তখন আসন্ন সন্ধ্যা ।
তারই মাঝে
লোভাতুর চোখ গুলি
ছুঁয়ে যায়,
পরের জ্যান্ত দুটির
শোকে বিহ্বল অবিন্যস্ত
পোশাকের খাঁজ—-
উপত্যকার বাঁক ।
কপালে চন্দনের টিপ
মুখে একরাশ ঘৃণা নিয়ে
নিঃশব্দে অন্ধগলিটা
পেরোয় অনন্যা।
তারপরই আছড়ে পরে
সেই অবশ্যম্ভাবী প্রশ্ন ,–
কুন্তী ডেকেছিল সূর্যকে,
অনন্যা কাকে ?
***************