সস্তায় যদি
শ্রী নীলকান্ত মণি
পাঁচন দাওয়াই
রোগ সাধারণ সারিয়ে দিতে
ছিলো না তার জুড়ি৷
সস্তা ও, তাই
ফোঁটা কাটা ভর্তি শিশি
হাসতো তখন যেন
নেইকো যাহার তেমন বাহার
নেইকো জারিজুরি৷
সে ছিলো এক কাল
টক তিক্ত কষায় মিষ্ট স্বাদে
সে মিশ্রণ অভয় দিতো
সকল প্রকার রোগে৷
এমনি করেই ষাট সত্তর বছর
কেটে গেলো কোন সে ফাঁক তালে৷
সে দিন-কাল পালটে গেছে আজ
পাঁচমেশালি থাকলে গ্রুপে
বাড়বাড়ন্ত তার
পুষ্যি পাওয়াও হয় না তখন ভার৷
সেটাই দেখি কলি কালের
মস্ত এক বাহার৷
চোখ বুজে রয় সেথা
গ্রপ কর্তার লাগাম ছাড়া
বেদম ছড়িদারী
পরস্পরে দেয় চুলকে পিঠ
অন্যথা নেই তার৷
হয় সে তাহার ফুলেল আহার
খোলা চোখেই তাই—
যায় ই সেসব দেখা৷
অবস্থা তার যতোই নাড়ী ছাড়ুক
সস্তা যদি
বাজি মারতে পারে, তবে
অধরা সব স্বপ্ন গুলো
আনতে ধরে
বলো, কে আর কষ্ট করে!
কথায় বাড়ে কথা৷
খোলা মনের খেলা সেসব
ছটক বাজির চটকদারি
ছড়াচ্ছে আজ আলো৷
কথকতার দিন
ফুরিয়ে গেছে কবেই
ফুরিয়ে গেছে স্বপ্ন সে রঙিন
কষ্ট করে অর্জিত যে ধন
সত্য মূল্য তার
কে আর দেবে বলো!
ছড়ার ছলে
বৃথা ই তুমি ছড়াও সেথায়
আপন মনের ব্যথা
মলিন চোখে চাওয়া তোমার
গহীন নদী
গভীর চলার বেগ তাহার
সামলে রাখাই ভালো৷
সে প্রবাহ ধারা
দুই পাড়ি তার শক্ত করে গড়া
আপন মনে সেথা
প্রদীপ খানি তোমার যদি পারো
স্নিগ্ধ শিখায় জ্বালো!
আপন সবাই৷
শক্তি আনুপাতিক
খোলা আপণ তাদের
এমনি করে মিলেই ধরে যদি
কী দোষ তাতে বলো!
—oooXXooo—