বিশ্বকবি
স্বপ্না নাথ
সুদূর মহাকাশে শত শত নক্ষত্রের কত আলো!
কত শত কিরণের ছটা।
মহাজগতের আলোয় আলোকিত হয়ে তুমি এসেছিলে ধরাধামে,
প্রভাতের প্রথম আলোয় হামা দিয়ে তোমার যাত্রা শুরু।
*********************
তখন তুমি শিশু রবি,
ফুল আর পাখিদের গানে,
এঁকেছিলে নির্ঝরের ছবি।
ঊষার শিশিরে, হরিৎ পত্রে, বৃষ্টির ফোঁটা য়,
নীল আকাশের বিহঙ্গের ডানায়,
তোমার চোখের মায়ায় বিশ্বের বিস্ময়,
সেই তো হল রবি উদয়।
হৃদয়, কবি হৃদয়,
প্রস্ফুটিত কিশলয়ের দীপ্ত তেজে উদ্ভাসিত হয়,
লেখনীতে মুখরিত সুবর্ণরেখায়,
গানে গানে, প্রাণে প্রাণে, প্রণয়পাশায়।
সমাজে, স্বদেশে, প্রেমে, আত্মকথায়,
গল্পের কাহিনীর মাধুরীলতায়।
প্রবন্ধের, ছিন্ন পাতার ছন্দ সুষমায়,
ছুটন্ত অশ্বের গতিময়তায়,
রূপ নেয় ভাষা তব চকিত প্রভায়।
প্রাণ, হে বিশ্ব প্রাণ,
ত্রিভুবন মাঝে তব কুসুম চয়ন,
স্নেহ হতে, প্রীতি হতে,
বেহাগের ব্যথা হতে,
বায়ু হতে, শূন্য হতে,
আঁধারে তে, আলো হতে,
প্রাণ থেকে প্রাণের শত আহরণ।
বিমুর্ত আনন্দরূপে অতীন্দ্রিয় মন,
ভক্তি হতে, পূজা হতে,
সত্য হতে, অমৃত হতে,
লেখনির মসিতে বেদান্তের ধন।
বিদ্রোহতে, ত্যাগ হতে করুনা ধারায়,
কর্ণিকা ছুটে চলে বিরহ ব্যথায়,
ছোট্ট তৃন হতে পর্বত চুড়ায়,
অতলান্ত দরিয়ায় তরণী ভাষায়।
মহাকাশে অনন্তের শূন্য নীলিমায়,
বাণী তব খনি হতে ব্রহ্মলোকে ধায়।
হে বিশ্ব কবি,
মধুজার রবি,
পূরণ করেছ শত জীবনের দাবি।
তুমি আছো ঘরে ঘরে,
সুরে সুরে অন্তরে,
উষা হতে যামিনীতে
অস্তহীন কবি।
—oooXXooo—