আকাশের হাজার হাজার তারার নিচে আমার ফুটো কপাল। সৃষ্টির আর স্রষ্টার অনিপুন প্রয়াস থেকে বিপুলা এই সুন্দর বসুন্ধরার বুকে হঠাৎ অসুন্দর অদক্ষ হিসেব এই মনুষ্যজন্ম। তোমার ভালোবাসার দ্বারা ভাঙাচোরা ঝালাই দিয়ে বাঁচতে চাই। এই জীবন পুষ্প বৃতি দল পুং এবং গর্ভরূপ সুন্দর চতুর্মুখী সৃষ্টি সম্ভারে সেজে উঠুক। সৌরভ গৌরব আর ভাবীই প্রজন্মের মহীরুহ কে না চায় শত ফুল বিকশিত হউক আর – কী করে আমি বুঝাব যে নদী যেমন সাগর ছাড়া বাঁচে না, আমিও ঠিক তেমনি করেই – তোমায় ছাড়া বাঁচতে পারি না। মানুষ ঠকে শেখে আর ঠেকে শেখে তাই নয় কি ? নিয়তি হউক আর বিচ্ছেদ হউক বিরহ মানুষ বুঝে! একটু বাঁচার মতো বাঁচতে হলে দরকার হয় এক টুকরো মাটি, একটু সবুজ ক্ষেত, এক ফালি চাঁদ। চাঁদের মতো উজ্জ্বল গোল লম্বা গোলক ধাঁধা টাকা। এক চিলতে প্রেম, সন্তানের ভালোবাসা, একটু সন্মান তার পর পরম সম্প্রীতি ভজন বন্ধু বর্গের সমাদর। নিউটনের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির মতো মনের মানুষ মন্দির সাপ যাকে দংশন করে শুধু সেই বুঝে কাল বিষ জ্বালা! শত শত জনমের পর কালা তাই বুঝেন না শ্রীরাধা প্রেম। মনুষ্য প্রেম সাগর মন্থন করে পায় মুক্তো হীন ঝিনুক খোলা। লক্ষ লক্ষ যুগ ধরে হৃদয় হৃদয় খুঁজে শরীর চায় শরীর – জন্ম মৃত্যুর খেলা ঘরে যুগ যুগ প্রেম হাহুতাসের মন্দির !!!