তখন আমি বাইশ উড়ুউড়ু মধ্য সন্ধ্যার এক আলো আঁধারি উপত্যকা শীতল বাতাস মিঠি মিঠি পলাশ ফাগুন অশোক শিমুল কিংশুক মনের আকাশে তখন এক ঝলক ভারি বৃষ্টির পর রঙে রঙে রামধনু সুরে সুরে হারমোনিয়াম কখন ।
ঠিক তখনই তুমি এলে সুর তুললে হারমোনিয়ামে ঢেউগুলো পায়ে পায়ে ওপরে আসে তারপর অবাক করে আরো আরো ওপরে .,শূন্যে বাতাসে বাতাসে তরঙ্গ হয়ে ছড়িয়ে পড়ে পাশাপাশি দুজন আমরা তোমার গরম নিশ্বাস আমার ঘাড়ে মুখে কখন পরিযায়ী আমরা শূন্য ভরে তরঙ্গে তরঙ্গে আমাদের নতুন ঠিকানা তোমার আদরে গলতে গলতে আমি জল হয়ে গেলুম কখন ।
যখন ঘুম ভাঙলো কেউ পাশে নেই আমার তুমিও না একলা তখন অনেক অনেক দূর ,..ওপর ,.. আশেপাশে নীচে ওপরে দশদিক জুড়ে শুধুই শূন্য ।
হঠাৎ তুমি ঠেলে দিলে কোথা থেকে নীচে পড়তে পড়তে আমার ভাবনা মেলে দিলো ডানা প্রথমবারের জন্য মনে হলো যত ভালোবাসা যত আদরের উষ্ণতা তা জল করার কৌশল তোমার কেননা শুধু একবার গড়িয়ে দিতে পারলেই চিরদিনের জন্য নীচে গড়িয়ে গড়িয়ে ।
কিন্তু জানা ছিলোনা আমি তখন চাতক দীর্ঘ অপেক্ষার পর প্রথম বৃষ্টির জল পান করতে করতে নীচে নামতে লাগলাম তবে গড়িয়ে গড়িয়ে নয় এতটুকু নাস্তানাবুদ নয় বরং দুটি ডানার পেলবতায় ।
নীচে নামতে নামতে ইচ্ছে হলো ক্ষেতের সবুজের সাথে মিশে যাই মিশেও গেলাম কখন তারপর আবার বৃষ্টি হয়ে মিশে গেলাম পুকুর নদী নালা ডোবার জলে।
একিদন সকালবেলা সূর্য আমার ঠোঁটে ঠোঁট রাখলো ফিসফিস করে বললো ওপরে উঠতে চাওতো বৈশাখে নিয়ে যাবো আকাশে তোমাকে বললাম আবার ফিরে আসতে পারবোতো নিশ্চয় পারবে বৃষ্টি হয়ে আর এবার যখন ফিরবে একা নয় সঙ্গে করে অনেক অনেক বজ্র বিদ্যুৎ অনেক অনেক ভারি শীলা।