অবাক জলপান
মৌসুমী ঘোষাল চৌধুরী
************
” অবাক জলপান ” রোজআনা;
জীবনে ছোট্ট কলম থেকে তৃষা পায়
ভীষন উষ্ণতায়। বাবা শিখিয়েছে, সিলিং ফ্যান বন্ধ হোক। লোডসেডিং হয়ত নেই তবু বাবা, দাদা শিখিয়েছে খেতে বসলে হাতপাখার বাতাস করো। কখনো ” ফটিকচাঁদ ”
মুক্ত জীবনের সুর প্রকৃতিপক্ষে। কখনো মৌসম এমনি
ক্লাস সেভেন মানেই হেভেন।
উষ্ণ সড়ক জুড়ে ঘুরেছি, ঘামে ভিজে
পথেই ঘুমিয়েছি। খুঁজেছি সেলসের চাকরি নিয়ে
অট্টালিকা অট্টালিকা মধ্যবর্তী কোলকাত্তায়।
ভীষন কান্না কেঁদেছি দোতলা বাসের জানলার
ধারটুকু ছুঁতে। অত উঁচুতে উঠতে ভয়ংকর হাওয়া।
টিকিটের উপর ” নক্সা ” এঁকে মেহেন্দী উৎসব
বিক্রি করেছি।
খিচুড়ির প্রার্থনায় জীবনকে ভালোবেসেছি।
জেনেছি ” হস্তীর ” মাথা শক্ত। বহু বহু নার্ভ।
জেগেছে প্রেম বইয়ের পাতায়।
জেগেছে প্রেম কলেজস্ট্রীটের দিস্তে খাতায়,
নতুন ক্লাসে সিনিয়রের পুরোনো বইয়ে পেন্সিলের দাগে হাতের রেখা খুঁজে।
লম্ফ টুকুই আপন, অন্ধকারে ও হালকা চেহারা
উঁচু পাহাড়তলির।
দিদির পরা অপরূপ ” সিন্ডরেলা ” ফ্রকে
স্বপ্ন দেখেছি একটা তাঁবুর।
বিক্রি করব মৌরী লজেন্স, মাছ লজেন্স।
” বডি লোশন ” বিক্রি করতে করতে
পৃথিবী দেখিয়েছে ” জলপাই “।
বলেছে, বাসন মাজো ঘরে, বাইরে।
এভাবেই জলযোগের কেকের গুঁড়োয়
মা শিখিয়েছিল, লড়ে যেতে হবে।
জীবনের প্রতিটা উত্তর খাদ পার হয়ে
মাউথঅরগ্যান কে ভালোবাসো।
—oooXXooo—