খেলা ঘর
রণজিৎ মন্ডল
কড়্ কড়্ কড়াৎ, বুকটা ধড়াৎ,
তীব্র আলোক রেখা বুকটা চৌচির করে, চোখ ধাঁধানো আলোক ছলাৎ উদভ্রান্ত অন্ধকারে!
অসহ্য উত্তপ্ত দহনে দগ্ধ বুকের রক্ত
জল হয়ে ঝির ঝির করে ঝরে!
একি আকাশ বাতাস সবুজ পৃথিবীর
আর্তনাদ, পৃথিবীর বুকের সব রক্ত বৃষ্টি
হয়ে ঝরে!
শীতল করে দেয় মুহূর্তে বাধভাঙা অশ্রুর ঝিরিঝিরি ধারায়, জ্বলে যাওয়া
পৃথিবীর নদী নালা রাস্তা ঘাট নিমেষে
ভরে।
কে কাঁদে কার জন্য, জানি না, শুধু জানি, সবাই কাঁদে দহনে, জ্বলনে, মরণে, আর্তনাদে, চিৎকারে, অশ্রু
অনন্ত ধারায় ঝরে জীবনের এপার
থেকে ওপারে!
বিষাদের কালো মেঘ আকাশে জমে পৃথিবীর, বুকফাটা আর্তনাদে জানায়
বুকের ব্যথা, জ্বালিয়ে পুড়িয়ে স্বচ্ছ করে,
ঝিরিঝিরি ঝরে অশ্রু তারপরে, পৃথিবীর, তোমার, আমার সবার হৃদয়কে ঠান্ডা করে, অশ্রুর বন্যায় ভাসিয়ে নদী নালা পথ ঘাট প্লাবিত
করে।
নেই তবু তৃপ্তি, নেই পৃথিবীর মুক্তি,
সূর্য আছে, চন্দ্র আছে, লক্ষ তারার
নির্ঘন্ট টিপ টিপ করে,
মৃদু আলোয়, বর্ণাঢ্য শোভায় দ্বীপ্ত
মনের আকাশ, হৃদয়ের চাওয়া পাওয়ার পূর্ণতা আলোকিত করে।
তবু নীল কালো হয়, তবু সাদা ভাসিয়া
যায়, তবু স্বপ্নের রঙিন আশায় শেষ লগ্নের অতৃপ্ত হৃদয় দ্বার খুলিয়া দেয়
মনের খেলা ঘরে, মায়া, মমতা, অভিমান ও ভালোবাসার অন্তঃপুরে।
—oooXXooo—