অ্যালবামের ছেঁড়া পাতা
শঙ্কর আচার্য্য
1972 এর কথা বলছি –
আপ বোম্বে মেলটা কলকাতা থেকে যথারীতি সকাল ন’টায় এসে হাঁফ ছাড়ে ভিক্টোরিয়া টার্মিনাসে। দেখতে দেখতে জনবিরল প্ল্যাটফর্মটা পরিণত হয় জনারণ্যে। যেন প্লাবন এসেছে নদীতে। কুলিরা দৌড়চ্ছে, প্রতীক্ষায় তিতিবিরক্ত লোকগুলো এসে ভিড় জমিয়েছে কম্পার্টমেন্টের গেটের সামনে। চোখের পাতা পড়ে না ওদের – ওই বুঝি এসেছে প্রিয়জনটি। কারা যেন আবার লাগেজ হাতে ইতিউতি খুঁজে বেড়াচ্ছেন চেনামুখ। সব কোলাহল ছাপিয়ে মাইকে ঘোষিত হচ্ছে ট্রেনের নির্ধারিত কর্মসূচী।
চারিদিকটা একনজর ভালো করে দেখে ধীর পায়ে এগোতে থাকে সুজয়। ওর চোখে আজ স্বপ্নিল খুশি। হাসির ঝিলিক মুখমন্ডলে। এই সেই শহর, যেখানকার মনোরম দৃশ্য, অভিনেতা-অভিনেত্রীদের শিল্পকলা কিংবা সুরকারদের সুরসংযোজন সে কলকাতার প্রেক্ষাগৃহে বসে আবেগের সঙ্গে উপভোগ করে। কতবার সে ভেবেছে এখানে আসবে বলে, কিন্তু পিছুটান যেন পেছন ছাড়েনি। আজ সব প্রতিবন্ধকতার রুদ্ধ দুয়ার পদদলিত করে সে এসেছে স্বপ্ন নগরীতে, নিজের স্বপ্নকে সার্থক রূপ দিতে।
টার্মিনাস পেরিয়ে রাজপথে পা রাখে সুজয়। সাতরাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ লক্ষ্য করে যানবাহনের গতিবিধি। অবাক হয়ে যায় পথের প্রশস্ততা দেখে। পথগুলোর বিস্তৃতি দেখে মনে হয় কোন বিশাল অক্টোপাস যেন নিজেকে থির রেখে শুঁড়গুলোকে ছড়িয়ে দিয়েছে চারদিকে।
নতুন শহরে গন্তব্যের সঠিক দিক নির্ণয় করতে না পেরে জনৈক পথিককে জিজ্ঞাসা করে সুজয় – মাফ করবেন, বলতে পারেন চেম্বুর যাবার বাস কোথায় পাবো?
ভদ্রলোক তর্জনী তুলে বাস স্টপ দেখিয়ে দেয়।
যাত্রী পরিবহনের একটিই সংস্থা – বি.আর.টি.সি। সরকারি উদ্যোগ। পেছনে এন্ট্রান্স, সামনে এক্সিট। পরিমিত যাত্রী। সিটে বসে সুজয় দৃষ্টি প্রসারিত করে দেয় জানালার বাইরে।
বাস চলতে থাকে। যেদিকে তাকায় সুজয়ের মনে হতে থাকে এই জায়গাটা যেন সে অমুক ছবিতে দেখেছে। এখানেই নায়ক পেটাচ্ছিল ভিলেনকে কিংবা নায়িকা গান গাইছিল। দৃশ্যগুলো রোমন্থন করে মনে মনে হাসতে থাকে সে।
বাস যত চেম্বুরের দিকে এগোতে থাকে, সুজয়ের চোখে মন্নুভাইয়ের ছবিটা ততই সচল হয়ে ওঠে। ভাবে সে মন্নুভাই ওকে এরকম ভুঁইফোড় অবস্থায় এখানে দেখলে নিশ্চয়ই অবাক হয়ে যাবেন। সে যে সত্যি সত্যি বম্বে চলে আসবে এটা তার কল্পনাতীত।
মন্নুভাইয়ের মা কলকাতায় থাকেন। তবে মন্নু চিরকালই বোম্বেবাসী। সেখানে কোন একটা গ্রিল কারখানায় কাজ করেন তিনি। বয়সে সে সুজয়ের থেকে বেশ বড়। যদিও পেটে কালির অক্ষর নেই, তবুও খুব বাকপটু। কথায় চিঁড়ে ভেজাতে তার জুড়ি নেই। সুজয়ের সঙ্গে তার ভাল পটে। সে মাকে দেখতে কলকাতায় এলে সুজয়ের সঙ্গে ঘন্টার পর ঘন্টা কাটান। সুজয়ের বোম্বের গল্প শোনার আগ্রহ দেখে তিনি খুব পীড়াপীড়ি করেন ওকে সঙ্গে নিয়ে যাবার জন্য। বলেন – দেখ সুজয়, তুই পড়ছিস পড়। তবে পড়াশোনা দিয়ে জীবন কাটানো যায় না। বাঁচতে গেলে টাকা দরকার। টাকা কাছে থাকলে দুনিয়া তোর। না থাকলে রাস্তার কুত্তাও তোকে পুছবে না। যদি জীবনে দাঁড়াতে চাস, আমার সঙ্গে বোম্বে চল। আমি মালিককে সুপারিশ করব তোর কাজের জন্য। উনি খুব অমায়িক। ঠিক একটা কাজে লাগিয়ে দেবেন তোকে…
মন্নুভাই বলে যান। সুজয় ভাবে অন্য কথা – কাজ তো সে কলকাতাতেও পেয়ে যাবে। পরীক্ষার পর সে চেষ্টা করবে। তবে এও ঠিক যে, এই উপমহাদেশে বোম্বেবাসী যে সম্মান আর মর্যাদা পায়, কলকাতাবাসী তার সিকিভাগও পায় কিনা সন্দেহ। কি গান, কি চলচ্চিত্র কিংবা অন্যান্য বিনোদন শিল্পে, সেখানে সৃষ্টির সঙ্গে জড়িয়ে আছে শ্রেষ্ঠত্ব। সেই শ্রেষ্ঠত্ব প্রাপ্তির জন্যই আপামর মানুষ ছুটে যায় সেখানে। সুযোগ পেলে সেই বা পিছিয়ে থাকবে কেন?
সুজয়ের কৌতুহলী শিল্পীমন জিজ্ঞাসা করে – আপনি তো বম্বে থাকেন। ধর্মেন্দ্র সাহেবকে দেখেছেন কখনও ? কিংবা জীতেন্দ্র জিকে ? প্রশ্ন শুনে দাপটের সঙ্গে বলেন মন্নুভাই – আরে! ওরা তো আমার প্রতিবেশী। ওরা জুহুতে থাকেন। আমাদের ঠিক পাশের পাড়া। চলতে-ফিরতে সারাদিনই দেখা হয়। এ আবার জিজ্ঞাসা করতে হয় নাকি ?
সুজয় আগ্রহের সঙ্গে বলে – ওদের সঙ্গে কথা বলা যাবে ?
মন্নুভাই বলে – যাবে না কেন ? ওখানে যাবি তবে তো বলবি। না গেলে কি করে বলবি বল – মন্নুভাইয়ের আশ্বাসে আবেগ যেন উপচে পড়ে সুজয়ের মনে। দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয়ে বলে সে – তাহলে তো নিশ্চয়ই যাবো।
বাস যখন চেম্বুরে পৌঁছয় বেলা এগারোটা। সেই আকাশছোঁয়া বহুতলগুলো আর মাথা তুলে নেই। হারিয়ে গেছে ঝাঁ-চকচকে-সুদৃশ্য সেই শোরুমগুলোও। যতদূর দেখা যায় শুধু ছোট-বড় টিন কিংবা এডবেস্টাসের শেড। সেখান থেকে ভেসে আসছে যন্ত্রদানবের রকমারি শব্দ। আর তারই মাঝে আগাছার মত অস্তিত্ব জাহির করছে গজিয়ে ওঠা কিছু সস্তার হোটেল। মানচিত্র অনুধাবন না করেও সুজয়ের বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, মূল শহর সে পেছনে রেখে এসেছে।
পথ এর বিপরীত দিকে কালভার্ট। প্রবেশপথে তোরণ। উপরে লেখা – BINDRA INDUSTRIAL COMPLEX. মন্নুভাইয়ের পূর্বোক্ত উক্তি স্মরণ করে ঠিকানা সম্বন্ধে নিশ্চিত হয় সুজয়।
রাস্তা পার হয়ে কমপ্লেক্সে ঢোকে সে। লেদ কারখানা, গ্রিল কারখানা, গ্যারেজ, সব যেন একই জায়গায় জট পাকিয়ে আছে। এর মধ্যে বেছে বেছে সে গ্রিল কারখানাতেই পা রাখে।
মালিক তখনও আসেননি। কারখানায় দুজন বসে গ্রিলের পাটি কাটছিল। একজন ছেনি ধরেছে, অন্যজন ঘা বসাচ্ছে হাতুড়ি দিয়ে। দুজনেরই মাথায় রুমাল বাঁধা। সুজয়কে দেখে মুখ তুলে তাকায় প্রথমজন।
সুজয় একটু ইতস্তত করে জিজ্ঞাসা করে – আচ্ছা, এখানে মন্নুভাই নামে কেউ কাজ করে ? সুজয়কে আপাদমস্তক একনজর জরিপ করে নিয়ে বলে প্রথমজন – এখানে মন্নুভাইয়ের ছড়াছড়ি। আপনি যাকে খুঁজছেন দেখুন তো এ সেই কিনা ?
ইশারায় দ্বিতীয় জনকে দেখিয়ে দেয় সে। নিজের নামের উচ্চারণ অপ্রত্যাশিতভাবে কর্ণকুহরে প্রবেশ করতে এবার মুখ তুলে তাকায় দ্বিতীয়জন। চোখাচোখি হতেই হেসে ফেলে সুজয়,
– আপনাকেই তো খুঁজে বেড়াচ্ছি।
মন্নুভাইয়ের তো চক্ষু ছানাবড়া। তিনি স্তম্ভিত না আতঙ্কিত ঠিক বুঝে উঠতে পারেনা সুজয়। বিহ্বলতা কাটাতে প্রথমজন সৌজন্যে দেখায়,
– আপনি বসুন না।
সুজয় সামনে একটা টুল টেনে নিয়ে বসে। বিরতি কাটিয়ে ফের কাজ শুরু করে ওরা।
কাজ করতে করতে বলে প্রথমজন
– যদি কিছু মনে না করেন কিছু বলি।
সুজয় সম্মতিসূচক ভাব প্রদর্শন করে।
সে বলে যায়,
– আপনার কথাবার্তার ধরন শুনে মনে হচ্ছে আপনি নিশ্চয়ই কলকাতা থেকে এসেছেন। তা এই মন্নুভাইকে কতদিন থেকে চেনেন আপনি ? ভুল শুধরে দেয় সুজয়,
– দিন নয়, বলুন বছর। সেটা কত এখন আর মনে নেই।
– কলকাতায় কি আপনি আমাদের এই গ্রীন লাইনেই কাজ করেন ?
সুজয় নিজের মর্যাদা সম্বন্ধে সচেতন করে দিয়ে বলে – আমি পড়াশোনা করি। এবছর স্কুল ফাইনাল দিয়েছি। রেজাল্ট না বেরোনো পর্যন্ত ছুটি। মন্নুভাই বারবার নিয়ে আসতে চেয়েছিলেন আমাকে। তখন আসতে পারিনি। তাই এখন এলাম।
– ও বুঝেছি, বেড়াতে এসেছেন তাহলে ? সংযোজন করে সুজয়
– যদি ভালো লাগে থেকেও যেতে পারি। মন্নুভাই তো বলেছেন কাজের ব্যবস্থা করে দেবেন।
এবার চমকে ওঠে হেড কারিগর,
– কি বললেন, মন্নু কাজের ব্যবস্থা করবে ? ওর পাল্লায় পড়েছেন ? ও সবাইকে ঐরকমই বলে। জিজ্ঞেস করুন তো, আজ পর্যন্ত কাউকে একটাও কাজ দিয়েছে কিনা ?
অভিযোগের সত্যতা যাচাই করার জন্য মন্নু ভাইয়ের দিকে তাকায় সুজয়। মন্নুভাই নীরব। না শোনার ভান করে কাজে অধিকতর মনোনিবেশ করে সে। তার হাবভাবে তখনও কিছু বুঝে উঠতে পারেনা সুজয়।
কয়েক পলক এভাবেই কাটে। সুজয়ের সমস্ত পরিকল্পনা যেন হঠাৎই নড়ে ওঠে। এরকম যে ঘটতে পারে, মন্নুভাইয়ের আচার-আচরণে কখনো বুঝতেই পারেনি সে।
হেড মিস্ত্রির চোখে ধরা পড়ে সুজয়ের এই দুশ্চিন্তা। সে প্রসঙ্গ আড়াল করতে ধমকের সুরে বলে,
– কি বে, অতিথিকে জলপানি কিছু খাওয়াবি কি ? না, না খাইয়েই মারতে চাস।
মন্নুভাই অভিমান মনে রেখে মুখে বলে,
– ও কথা বলছিল, তাই কিছু বলিনি। না হলে… গাম্ভীর্যের সঙ্গে উঠে দাঁড়ায় মন্নুভাই। জামাটা গায়ে দিতে দিতে সুজয়ের উদ্দেশ্যে বলে – চল।
যাবার আগে হেড মিস্ত্রিকে বলে সুজয়,
– আপনার সঙ্গে কথা বলে খুব ভালো লাগলো দাদা। তবে, দাদার নামটা…
– আমাকে সবাই দিলুভাই বলেই ডাকে। আপনি ইচ্ছে করলে দিলুও বলতে পারেন।
হোটেলে খেতে খেতে সুজয় মন্নুভাইকে বলে,
– দিলু ভাই যা বলল, আপনি তার কোনো প্রতিবাদ করলেন না তো ?
গাম্ভীর্য বজায় রেখেই সে জবাব দেয়,
– কে কি বলল তাতে আমার কী এসে যায়।
মন্নুভাই কথা এড়াতে চাইলেও প্রসঙ্গ না বদলে প্রশ্ন করে সুজয়।
– ওসব ছাড়ুন, আসল কথাটা বলুন তো। আমার কাজটা হবে তো ?
অজুহাত দেখিয়ে মন্নুভাই বলেন,
– তুই আমাকে না জানিয়ে এসেছিস। ঐরকম হুট করে এলে কাজ হয় কখনও ?
– কিন্তু আপনি তো বলেছিলেন আপনি মালিককে সুপারিশ করলে মালিক আপনার কথা ফেলবেন না।
– তখনকার কথা আলাদা। এখন বাজার মন্দা। সব জেনেশুনে মালিককে কি করে বলি তোর কাজের কথা ?
দিলুর কথা যে সম্পূর্ণ সত্যি, সে সম্বন্ধে এবার নিশ্চিত হয় সুজয়। দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে
– তাহলে কি ফিরে যাব কোলকাতায় ?
মন্নুভাই নির্বিকারভাবে বলে যায়,
– দেখ সুজয়, তুই এসেছিস নিজের ইচ্ছায়। যাবিও নিজের ইচ্ছায়। এখানে আমার কি বলার থাকতে পারে ? আপাতত সেটাই বোধহয় ভালো। পরে কাজ ঠিক করে আমি তোকে ডেকে নেব।
ক্ষুব্ধ সুজয় রুক্ষভাবে বলে,
– থাক, আর কষ্ট করতে হবে না আপনাকে। এখন ফিরবার গাড়ি কখন পাব দয়া করে বলুন।
– সে তো রাত্রে।
– তাহলে আপাতত এখানেই থাকি। বিকেলবেলা বেরিয়ে যাব।
সুজয়ের সিদ্ধান্ত শুনে হাঁফ ছাড়ে মন্নুভাই। যেন পাহাড়সম ওজন খসে পড়ে ঘাড় থেকে। তবু নিজেকে বিবেকের দংশন থেকে মুক্ত রাখতে সে হালকাভাবে বলে – সেটা তোর ইচ্ছে।
কারখানায় যথারীতি কাজ চলছে। গেটের বাইরে পাতা একটা বেঞ্চে বসে আছে সুজয়। তা প্রায় আধঘণ্টা হলো, মালিক ইতিমধ্যে এসে গেছেন। তিনি কর্মচারীদের সঙ্গেই সঙ্গ দিচ্ছেন। মালিক-শ্রমিক এখানে কোন বিভেদ নেই। তাদের সব উক্তিগুলো বেশ শোনা যাচ্ছে বাইরে থেকে। একসময় কৌতুহলী মালিক জিজ্ঞাসা করেন দিলুকে,
– আরে দিলু, বাইরে যে বসে আছে সে ছেলেটা কে ?
সুযোগ পেয়ে মনের কথা উগরে দেয় দিলু,
– আর বলেন কেন, এই ভদ্রলোক মন্নুর কাছে এসেছেন কলকাতা থেকে। মন্নু তাকে কথা দিয়েছিল কাজ দেবে বলে। এখন আর চিনতে পারছে না।
শুনে মন্নুর দিকে তীর্যক দৃষ্টি নিক্ষেপ করেন মালিক।
– কিরে মন্নু, তুই এখনো স্বভাব পাল্টাসনি ? ভদ্রলোককে কাজ দিবি বলে এনেছিস, এখন কোথায় যাবেন উনি ? মন্নুভাই ঢোক গিলে বলেন,
– ও তো চলে যাবে বলছে।
– তুই কাজ দিচ্ছিস না বলে চলে যেতে চাইছে। ও যদি চলে যায় তবে তোকেও চলে যেতে হবে ওর সঙ্গে। এখন কি করবি বল ?
মন্নুভাই অপরাধীর মত মাথা নিচু করে থাকে নীরবে।
মালিক এরপর যথারীতি দিলুর সঙ্গে পরবর্তী প্রসঙ্গে বলতে থাকেন। তার নজর বারবার চলে যায় বাইরে বসে থাকা সুজয়ের দিকে। অবশেষে তিনি ওকে ডাকিয়ে নেন নিজের কাছে।
জিজ্ঞাসা করেন – আপনি কাজ করবেন ?
সুজয় খুব নম্রভাবে বলে,
– মন্নুভাই তো আমাকে কাজ দেবেন বলেছিলেন।
– ও শালার কথা ছাড়ুন। আমার কথার জবাব দিন।
– কাজ করবেন আপনি ?
– করবো।
– শুনেছি আপনি পড়াশোনা করেন, তাই এই কারখানায় নয়। ওই যে কনস্ট্রাকশন কোম্পানিটা দেখছেন, ওটা আমারই। প্রতিদিন টন টন লোহা-সিমেন্ট-বালি ওখানে পাঠায় সাপ্লায়াররা। আপনার কাজ হলো সেগুলো রিসিভ করা, তারপর ভাউচার সহ তার হিসেব, হিসেববাবুকে বুঝিয়ে দেয়া। কি পারবেন তো ?
সুজয়ের মনে আনন্দ আর ধরে না। অকুল পাথারে ডুবে যেতে যেতে সে যেন পায়ের নিচে পেয়ে যায় মাটির স্পর্শ। বাতাসে ফিরে পায় প্রাণ।
—ooXXoo—