ডেডবডিটাকে পাঁচটা ডেডবডির পর লাইনে রেখে নিত্যানন্দ রায় ওরফে নেত্যকা বলল-” কালু লাইন আসার আগে তোর দাদুর পরলৌকিক কাজগুলো সেরে ফ্যাল। আমি গঙ্গার ধারে বট গাছের তলায় গিয়ে একটু বসি।”
নিত্যানন্দ রায়, পাড়ার বারোয়ারি নেত্য কা। ষাটোর্ধ্ব স্বাস্থ্যবান মানুষ। সদ্য ইনকামট্যাক্স ডিপার্টমেন্ট থেকে অবসর নিয়েছেন। এখন পাড়ায় কারোর অসুখ বিসুখ হলে নিয়ে হাসপাতালে ছোটেন, আবার কেউ মারা গেলে শ্মশানে। মোদ্দা কথা পপুলার মানুষ নানান ধরণের সোশ্যাল ওয়ার্ক করে বেড়ান।
বট গাছের নিচে শান বাঁধানো চাতালটায় বসে নিত্যনন্দ রায় গায়ে একটু ফুরফুরে গঙ্গার বাতাস লাগিয়ে নিচ্ছেন। সামনে প্রশস্ত গঙ্গার ঘাট, শ্মশান যাত্রীরা ডেডবডি দাহর পর গঙ্গাতে নাভি ভস্ম বিসর্জন দিয়ে, স্নান সেরে উঠে আসছে। এদিক ওদিক নিরবচ্ছিন্নভাবে লোকজন ঘোরাঘুরি করছে। গোধূলি বেলায় চা-খোর মানুষ, নিত্যানন্দ রায়ের একটু চা খেতে ইচ্ছা হল। চারদিকে চোখ বুলিয়ে কোনো চা ওয়ালা দেখতে না পাওয়াতে অগত্যা পকেট থেকে নস্যির ডিব্বাটাই বার করে এক টিপ নস্যি টেনে, হেঁচে টেঁচে একটু ধাতস্ত হয়ে স্নান ঘাটের দিকে চোখ যেতেই চমকে উঠলেন।
কলো সাদা ডোরা কাটা গেঞ্জি গায়ে বছর চল্লিশের একটি ছেলে স্নান ঘাটের দিক থেকে বট গাছটার দিকে আসছে। নিত্যানন্দ রায় চোখ কচলে ভাল করে দেখে স্বগোক্তি করলেন-” আরে! রতন না?? হ্যাঁ, রতনের মতোই তো লাগছে। কিন্তু সে কি-করে হবে!! আমাদের অফিসে চাকরি করত রতন, সে তো দুবছর আগে গাড়ি একসিডেন্টে মারা গেছে, আমি নিজে নিমতলা শ্মশানে গিয়ে তাকে দাহ করে এসেছি।” তাঁর এই সাত পাঁচ ভাবনার মধ্যে আগন্তুকটি বট গাছ তলায় চলে এল। আগন্তুকের হাতের পাঞ্জার মধ্যে গোটাকতক এ-ফোর সাইজের কাগজ রোল করা। নিত্যানন্দ রায় চোখে সর্ষে ফুল দেখছেন, কোনো ভুল নেই ,এ-তো রতন-ই। নিজে ঠিক আছেন কিনা জানতে গায়ে একটা জোরে চিমটি কেটে দেখলেন, না ঠিকই আছেন। ঘটনাটা জাস্টিফাই করার জন্য তিঁনি আগন্তুকের দিকে এগিয়ে গেলেন। সবে মাত্র আগন্তুকের পরিচয় জানতে চাইবেন, কিন্তু নিত্যানন্দ রায়কে অবাক করে দিয়ে আগন্তুকই হেসে প্রশ্ন করল-” ভাল আছেন স্যার?”-রীতিমতো ভিমরি খেয়ে আমতা আমতা করে নিত্যানন্দ রায় বললেন-” তু-ই, র-ত-ন,-???” “হ্যাঁ স্যার, আমিই রতন।” “কি-ন্তু, তু-ই ,-তো——-“ “দুই বছর আগে পোদ্দার কোর্টের ওখানে মোটর সাইকেল একসিডেন্টে মারা যাই।” ” তা- হ -লে??”
” স্যার, আমি এখন যমলোকের ‘কনসিলিয়েশান ডিপার্টমেন্টে’ চাকরি করি।” নিত্যানন্দ রায়ের এতক্ষনে কিছুটা সম্বিৎ ফিরেছে। তিঁনি বিস্ময়ের সাথে জানতে চাইলেন-” ব্যাপারটা একটু খুলে বল দেখি, আমার তো কেমন সব তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে!” “সংক্ষেপে বলি স্যার,- আমার কাজ হচ্ছে, শ্মশানে শ্মশানে ঘুরে দাহকরা ডেড বডির আত্মাকে যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে যমলোকে নিয়ে যাওয়া।” “আমি কিছুই বুঝলাম না, আত্মা তো এমনিই স্বর্গে যায়।” নিত্যানন্দ রায় অবাক বিস্ময় প্রকাশ করলেন। “আপনি যেটা জানেন সেটা ঠিক নয় স্যার। আত্মা আগে যায় যমলোকে, যেখানে গিয়ে তার কর্মফল বিচারের পর ঠিক হয় সেই আত্মা স্বর্গে যাবে কিনা। ওটা আমার কাজের এখতিয়ারে পড়ে না। আমার কাজ আত্মাকে কনভিন্স করে যমলোকে নিয়ে যাওয়া।” নিত্যানন্দ রায় বলেন-” তোর ‘বুঝিয়ে নিয়ে যাওয়াটা’ আমি এখনো বুঝতে পারলাম না।”
“তাহলে স্যার খুলেই বলি- মানুষ যখন জন্মায় তখন গ্রহ নক্ষত্রের অবস্থান বিচার বিশ্লেষণ করে তার জীবনের বিধিলিপি বা কোষ্ঠী তৈরি করা হয়। ওই কোষ্ঠী অনুযায়ী তার জীবন চালিত হয়। কোষ্ঠীতে আয়ু শেষ হলেই তাকে যমলোকে ফিরতে হয়। কোষ্ঠীতে, জীবনে যা কিছু ঘটবে সেটা লেখা থাকে। তার বাইরে কিছুই ঘটে না। যেটাকে আপনারা বলেন, ‘কপালে যেটা আছে সেটাই হবে’। এ-পর্যন্ত সব ঠিক আছে, গোল বাঁধে এর পর। মানুষের জন্মের পর অনেকে জ্যোতিষী দিয়ে কোষ্ঠী তৈরি করান, ভাল জ্যোতিষী হলে কিছু হয়তো মিলে যায় কিন্তু যমলোকের কোষ্ঠীতে ভাগ্য লেখার সাথে জ্যোতিষীর কোষ্ঠী কখনোই মেলে না। মানুষ, শিশু থেকে যখন প্রাপ্ত বয়সে পদার্পণ করে, তখন থেকে সে জীবনের পরিকল্পনা করতে থাকে, যেটা যোগ্যতাকে নস্যাৎ করে বহু দূর এগিয়ে যায়। ফল স্বরূপ আশাহত হয়। আবার সে নুতন ভাবে জীবনের পরিকল্পনা করতে থাকে। এই ভাবে চলতে চলতে এক সময় তার যমলোকের কোষ্ঠীর নির্ধারিত আয়ু ফুরিয়ে যায়, এবং অপূর্ণ অনেক আশা নিয়েই আত্মাকে দেহত্যাগ করতে হয়। আত্মা তখন মানতেই চায়না যে, সে মারা গেছে। সমস্ত আত্মাই জিজীবিষা মানসিকতার হয়। আমাকে তখন সেই সব আশাহত আত্মাকে যম লোক থেকে আনা এই কোষ্ঠী পড়ে বোঝাতে হয় তার ভাগ্যে যা ছিল সবই ঘটে গেছে, এখন তাকে যমলোকে ফিরে যেতে হবে। এই কনভিন্স করে নিয়ে যাওয়াই আমার কাজ।” পরোলোকের নিয়ম কানুন ইহলোকে বসে শুনতে পেয়ে নিত্যানন্দ রায় খুবই উৎফুল্ল। তিঁনি আহ্লাদে গদগদ হয়ে বললেন-” হ্যাঁ রে রতন, আমারও নিশ্চই ওরকম একটা কোষ্ঠী করা আছে! সেটা একটু বার কর না, তাহলে আমার বাকি জীবনটা কেমন কাটবে, কবেইবা মারা যাব, এগুলো জানতে পারলে শেষ জীবনটা একটু গুছিয়ে নিতে পারতাম।” ” স্যার, আপনার একটা কোষ্ঠী নিশ্চই আছে, কিন্তু সেটা তো যমলোকে, আমার কাছে নেই।” নিত্যানন্দ রায় আরো খানিকটা উৎসাহিত হয়ে বললেন-” তুই তো শ্মশানে আসিস—??” “রোজই আসতে হয়, রতন বাবুর ঘাট ( শ্রী রামকৃষ্ণ মহা শ্মশান), কেওড়াতলা, নিমতলা ইত্যাদি শ্মশান গুলোই তো আমার কর্মক্ষেত্র।” আবেগাপ্লুত নিত্যানন্দ রায় আবেগ আর কন্ট্রোল করতে না পেরে বললেন-” তুই তাহলে আমার কোষ্ঠীটা একটু নিয়ে আসিস, আমি তোর থেকে নিয়ে নেব।” নিত্যানন্দ রায়ের সাথে যমলোকের প্রতিনিধির যখন এইরূপ বাক্যালাপ চলছে, ঠিক তখনই কালু পেছন থেকে চেঁচিয়ে ডেকে উঠল-” ও নেত্যকা চা খাবে এসো।” নিত্যানন্দ রায় ঘাড় ঘুরিয়ে কালুর দিকে ফিরে হাত তুলে ” যাই” বলেই ঘাড় ফিরিয়ে দেখেন রতন নেই। তিঁনি তৎপরতার সাথে উক্তস্থান তন্নতন্ন করে খুঁজলেন। দুই একবার রতনের নাম ধরে উচ্চস্বরে ডাকলেন, কিন্তু তার আর দেখা পেলেন না। নিরাস হলেন বটে, তবে ভেঙে পড়লেন না, মনে মনে এইটুকু আশ্বস্ত হলেন যে, প্রতিদিন তো রতন শ্মশানে আসে দেখা করে জীবন কোষ্ঠীটা নিয়ে নেবেন। কালু আবার চা খাওয়ার জন্য ডাকতেই নিত্যানন্দ রায় শ্মশানের বাইরে চায়ের দোকানের দিকে চলে গেলেন।
ইদানিং বাড়ির এবং পাড়ার সকলের কাছে নিত্যানন্দ রায়ের আচরণ কেমন যেন অস্বাভাবিক হয়ে উঠছে। সামনে কিছু না বললেও পিছনে তাঁর চলাফেরা নিয়ে কিঞ্চিত সমালোচনা হয়। তিঁনি এখন আর আগের মতো প্রাণ খোলা ফুর্তিবাজ মানুষ নেই। বাড়িতে থাকলে পরিবারের লোকজনদের সাথে খুব প্রয়োজন ছাড়া কথা বলেন না। আপন মনে বিড়বিড় করে কি সব বকতে থাকেন। বাড়ির বাইরে বারহলে প্রতিবেশীদের সাথে কোনো কথা বলেন না, রাস্তায় মাথা নিচু করে চলেন। কেউ কোনো সোশ্যাল ওয়ার্ক-এ ডাকলে যান না। এমনকি শরীরের প্রতি যত্নও যেন অস্তাচলে।
আজ বেশ কয়েক মাস নিত্যানন্দ রায় রতনবাবুর ঘাট, নিমতলা, কেওড়াতলা শ্মশানে শ্মশানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, কিন্তু রতনের দেখা পাচ্ছেন না। নিজের ভবিষ্যৎ জানার এমন সুবর্ণ সুযোগটা হাতছাড়া হয়ে যাওয়ায় তিঁনি নিজেকে ক্ষমা করতে পারছেন না। হাল ছাড়তেও চাইছেন না। ঠিক করলেন আশপাশের শ্মশান গুলোতেও যাবেন। ফলে সোদপুর, বারাকপুরের শ্মশানে গিয়ে রতনের খোঁজ করতে থাকলেন। এই ভাবে অনুসন্ধান চালাতে চালাতে জীবন থেকে আরও সাতটা বছর খরচ হয়ে গেল। ‘রতন’ কিন্তু অধরাই থেকে গেল। নিত্যানন্দ রায় এখন আর আগের মতো নেই। মানসিক দুশ্চিন্তায়, এবং বয়সের ভারে শক্ত পোক্ত শরীরটা কেমন যেন নুবজে পড়েছে। মাথা ভর্তি লম্বা লম্বা কাঁচা পাকা চুল, গাল ভর্তি বড়বড় পাকা দাড়ি। সাতষট্টি বছর বয়সটাকে একেবারে প্রায় আশির দোরগোড়ায় টেনে নিয়ে গেছে। শরীরের জোর অনেক কমে গেছে। হাঁটতেও কষ্ট হয়। তিঁনি এখন সব শ্মশানে আর যেতে পারেন না। তবে রতন বাবুর ঘাটে গিয়ে বসে থাকেন। এই আশায় ,যদি ওখানে আবার রতনের সাথে দেখা হয়। এলাকার কচিকাঁচারা পাগলা বুড়ো বলে ডাকতে শুরু করেছে। নিত্যানন্দ রায় কানে শুনেও শোনেন না। বার্ধক্যজনিত ঔষধ গুলোও ঠিকঠাক খাননা। এইভাবে জীবনের আরও দুটি বছর পার করে দিলেন। এখন আর তেমন হাঁটা চলা করতে পারেননা। রতনের আশা ছেড়ে দিয়ে তিনি এখন ঘর বন্দী হয়ে পড়েছেন।
ভোর রাতের দিকে নিত্যানন্দ রায়ের ঘুম ভেঙে গেল। বুকে একটা তীব্র যন্ত্রনা নিয়ে ঘুম ভাঙল। পরিবারকে ডাকতে গেলেন, কিন্তু একটা গোঁ গোঁ শব্দ ছাড়া গলা দিয়ে আর কিছু বার হল না। মিনিট খানিক এমন চলার পর সব কেমন ঠান্ডা হয়ে গেল। জ্বালা যন্ত্রনা কিছুই আর উপলব্ধি করতে পারছেন না। নিত্যানন্দ রায় চরম স্বস্তিতে চোখ খুলতেই চমকে উঠলেন। পায়ের সামনে রতন দাঁড়িয়ে। এক বুক হতাশা নিয়ে এগিয়ে এলেন -” রতন তুই এসেছিস!!! আমি কত বছর ধরে শ্মশানে শ্মশানে তোকে খুঁজে বেড়িয়েছি। আমার কোষ্ঠীটা তোর যমলোক থেকে আনার কথা ছিল!! রতন নিত্যানন্দ রায়কে উত্তেজনা প্রশমিত করে বলল-” স্যার, আপনার সব কথা আমি বুঝতে পেরেছিলাম। কিন্তু আমার ইচ্ছায় তো কিছু হবে না। আপনার যখন সময় হবে তখন আপনার কোষ্ঠী আমার হাতে আসবে। নিত্যানন্দ রায় পুনরায় আশাহত হয়ে বললেন-” ও, তার মানে আজও তুই আমার কোষ্ঠী আনিসনি? তবে এসেছিস কেন?” রতন বলল-“হ্যাঁ স্যার, এনেছি।” ‘এনেছি’ কথাটা শুনে নিত্যানন্দ রায় অতি উৎসাহে বললেন-” এনেছিস, কৈ দেখি দেখি, আমি শেষ জীবনটা এখনো ঠিকঠাক গুছিয়ে নিতে পারলামনা।” এইটুকু বলেই নিত্যানন্দ রায় হঠাৎ চুপ করে গেলেন। একটা খটকা এসে নিত্যানন্দ রায়ের বুকে স্বজোরে ধাক্কা মারল। তিঁনি রতনকে জিজ্ঞাসা করলেন -” দাঁড়া, দাঁড়া, তুই আমার কোষ্ঠী এনেছিস মানে? আমি কি তা-হ-লে—–!!!!” “হ্যাঁ স্যার, আজ ভোর চারটে ছয় মিনিট দুই সেকেন্ডে আপনি মারা গেছেন। ওই দেখুন আপনার নশ্বর দেহটা পড়ে আছে। নিত্যানন্দ রায় তাঁর ডেড বডির দিকে বেশ কয়েক মিনিট অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে রতনকে বললেন-” আমার যে বাড়ির সকলকে অনেক কিছু বলার ছিল!!” “সে আর সম্ভব নয় স্যার। ওটা ছিল আপনার প্ল্যান। এ- ফোর সাইজের কাগজটা নিত্যানন্দ রায়ের সামনে উন্মুক্ত করে বলল-” এই দেখুন স্যার, যমলোকের কোষ্ঠী অনুযায়ি জীবনের শেষ আট বৎসর অর্ধ উন্মাদের ন্যায় শ্মশানে শ্মশানে ঘুরিয়া জীবন অতিবাহিত হইবে। অবশেষে ঊনসত্তর বৎসর ছয় মাস সাতাশ দিন পাঁচ ঘণ্টা বত্রিশ মিনিট একুশ সেকেন্ডে আত্মা কলেবর পরিত্যাগ করিবে।” রতনের কথা গুলো শুনে নিত্যানন্দ রায়ের যুক্তি আছে মনে হল। সেই সাথে এটাও মনে পড়লো পরিবার প্রতিবেশীরা আড়ালে তাঁকে পাগল বলে বিদ্রুপ করতো।
সময় অনেক পার হয়ে গেছে, আত্মা পিছু রতনের সময় বাঁধা। রতন বিনয়ের সাথে বলল-” সব তো দেখলেন, শুনলেন, এবার আমার সাথে ফিরে চলুন।” নিত্যানন্দ রায় অনিচ্ছাকৃত ভাবে বলল-“কি-ন্তু—“ –“কোনো কিন্তু নেই স্যার, ওই দেখুন আপনার নশ্বর দেহটাকে শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে। পরিবার পরিজন কান্নাকাটি করছে, কারণ তারা জানে আপনি আর কখনো ফিরবেন না। আপনাকেও সমস্ত মায়া, মমতা, মোহ, ইত্যাদি কাটিয়ে আমার সাথে যমলোকে যেতে হবে।”
অবশেষে নিত্যানন্দ রায়ের আত্মা সব বিষয়ে অবগত হয়ে যমলোকে যাওয়ার সম্মতি জানালেন। এমতবস্থায় নিত্যানন্দ রায়ের নশ্বর দেহ চলল শ্মশান ঘাটের দিকে, আর আত্মা চলল রতনকে অনুসরণ করে এক অজানা লোকে।
সলিল চক্রবর্তীর “কোষ্ঠী” নামক ছোট গল্পটা পড়লাম।এটা শুধু গল্প বললেও ভুল হবে আমার মনে হয় কারন অনেক তাত্ত্বিক আলোচনা গল্পের মাধ্যমে আমরা জানলাম।কার কতোটা বিশ্বাস আমার জেনে কাজ নেই তবে কিছু চরিত্রের কাল্পনিক নাম গল্ব্যপে বহার করা হয়েছে।শুধু নামটাই কাল্পনিক বাকি যেটা বলা হয়েছে সেগুলোর যথেষ্ট ভিত্তি রয়েছে।আমার ভীষন ভালো লেগেছে।সবচেয়ে বড়ো কথা গল্পের বিষয়বস্তু চুজ করা।সেদিক থেকে চমৎকার বিষয়ে লিখেছেন সলিল বাবু।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সলিলদা।
সলিল চক্রবর্তীর “কোষ্ঠী” নামক ছোট গল্পটা পড়লাম।এটা শুধু গল্প বললেও ভুল হবে আমার মনে হয় কারন অনেক তাত্ত্বিক আলোচনা গল্পের মাধ্যমে আমরা জানলাম।কার কতোটা বিশ্বাস আমার জেনে কাজ নেই তবে কিছু চরিত্রের কাল্পনিক নাম গল্ব্যপে বহার করা হয়েছে।শুধু নামটাই কাল্পনিক বাকি যেটা বলা হয়েছে সেগুলোর যথেষ্ট ভিত্তি রয়েছে।আমার ভীষন ভালো লেগেছে।সবচেয়ে বড়ো কথা গল্পের বিষয়বস্তু চুজ করা।সেদিক থেকে চমৎকার বিষয়ে লিখেছেন সলিল বাবু।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সলিলদা।