” ফোনটা তোল, তোল। ” বোন বলছে, ” কি হয়েছে রে দাদা? ” কোভিডের ভয়ানক ভয়াবহতায়, ” আমার আজ মাস ছয়েক হল, চাকরিটা নেই রে। ” “সেকি, বহুকাল যোগাযোগ নেই। ” অনেক দূরের সম্পর্ক আজকাল। ” বোন আমি সুইসাইড করব। একটা কিছু কর। ” বোন বলে উঠল, ” আমি ছেলেকে নিয়ে সাইকেল চালিয়ে একটা প্রাথমিক বিদ্যালয় যাচ্ছি। যদি কিছু শিখতে পারে। ” দাদা বলছে, ” আমি কমার্স পরে ও কিছু করতে পারিনি, রে ছোট্টো শিশু। না খেতে পেয়ে মরে যাচ্ছি। ” ঝরঝর করে কাঁদছে দাদা। ” যা হোক কিছু কর। ” বোন ফোনটা রেখে লক্ষী পূজোর দিন ভোরবেলায় ফোন করে বলে উঠল, ” ” দাদা, পাড়ায় একটা মাল্টিস্টোরিড বিল্ডিং উঠেছে। সুইসাইড কোরো না। যা দেয় তাই নিয়ে সংসার চালাও। আমি চাকরি পেলে ভাবব। ” দাদা বলছে কি চাকরি পাবি, ” ঐ একটা নার্সিংহোমে খাতা লেখার চাকরি পেতে পারি । ” আর কি পাবো, বি. এস. সি ব্যাক। ” ” তুই সত্যিই চাকরিটা পেলি। আমায় বাঁচালি রে। এই চাকরিটার খবর দিয়ে। ” এই সামান্য কটা টাকাতে ও আপাতত চলবে। ” ” আমারো। দাদা ” ” শপিং মলে কি ভিড় রে। ” ” কাদের ভিড় রে ” ! ঐ বনলতা সেন দের। ” যারা কবির কবিতার উৎসাহ। ” আহা, চল নাম লেখাই। কোথায় পাবো? সেই কাজললতা আছে। ” ” আচ্ছা চোখে কি আছে বলতো।বোন বলছে, ” দাদা, কাঁপি রে দুপুরে, আ্যাসবেস্টাস টা বুঝি উড়েই গেল। “আর ঐ যে,দূরে ” বনলতা সেন। ” ” সামন্ত প্রভুদের ফাগুন, আগুন আগুন। ” ” দাদা বলল, কি হবে? বললাম, “সকালে ম্যালেরিয়া, রাতে ডেঙ্গু। এভাবেই কাটিয়ে দিলাম তেত্রিশ বছর। ”