আম্মো নাকি কবি !
কাকলি ঘোষ
সবাই দেখি পদ্য লেখে
সবা ___ই নাকি কবি !
চাঁদের মায়া ফুলের শোভা
নানান রকম ছবি।
কেউ বা দেখি চুপটি করে
চাইছে আকাশ পানে
আমি ভাবি পদ্য বুঝি
নামবে কবির টানে।
কেউ বা আবার ছন্দ মেলান
বেজায় হিসেব কষে
বেহিসাবি হয়ে কেউ বা
থাকেন রসে বশে।
কাউকে দেখি হতাশ প্রেমিক
উদাস চোখে চায়
ঘন ঘন নিশ্বাস আর
দাঁড়িয়ে এক ঠায়।
মেঘ দেখে কেউ ভাবে বুঝি
ওই অলকাপুরি
ছুটতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে
আহ্! সে ভারী বিচ্ছিরি।
বৃষ্টি হলে ভিজতে গিয়ে
বাধায় নাকে সর্দি
তাই সারাতে বাধ্য হয়ে
এবার ডাকো বদ্যি।
কি বলি ভাই এদের কথা
বলে না ফুরাই
কাব্য কলা ছন্দ বাণী
এদের ছাড়া নাই।
এই পৃথিবীর সব টুকু রস
উজাড় করে নিয়ে
কাব্য লেখেন কবি যখন
অন্ত্য মিলে গিয়ে
অবাক চোখে ভাবতে বসি
কেমন করে হয়
কোন জাদুতে ওরা পারে
আমার কলম নয়।
তবু ও যখন কথা বসাই
মিলিয়ে চলি ছবি
সবাই প’ড়ে বলে আবার
আম্মো নাকি কবি!
—oooXXooo—