নব যুগের রক্ষিতা
রণজিৎ মন্ডল
কেন এতো লালসা, কেন
এতো নৃশংসতা,
একটুও কি ভালোবাসা দেয়নি
প্রাণে বিধাতা?
পারবে দিতে আমাকে যত আছে
ভালোবাসা, না হয়ে সর্বনাশা হতে
পারো না ত্রাতা?
জন্ম তো নিয়েছিলে আমারি মত
এক অসহায় নারীর গর্ভে, ডেকেছিলে
মাতা,
দর্শন কর সেই রূপ, দেখো সেই
বিধাতা, তার স্তনশুধায় তৃপ্ত
করি হয়েছিল মাতা।
আমি, আমি সেই নারী, যার শরীরে
যৌবনের তরঙ্গ পাগোল করেছে
তোমায়, কলিযুগের অসুর, তুমি
কি হতে চাও কারো পিতা?
না, না, সে অধিকার হারিয়েছে তুমি,
হলেও অন্নদাতা,
পারনি দিতে একদিনও এক ফোটা
ভালোবাসার শুধা, শুধু নারীর নারীত্বে
তোমার ক্ষুধা, তোমার চোখে মুখে
নৃশংসতা।
চাই না, চাই না, সিঁথির সিঁদুর, চাই না
বাসর সাজের নবরূপা বধূর সৌন্দর্য,
চাই না রজনীগন্ধার শুশোভিত রূপ,
এহেন ফুলশয্যা আর কিছু নয়, সারা
জীবনের সাক্ষী, আমি ভালোবাসাহীন
এক নর পিশাচের কাছে ধর্ষিতা।
লজ্জায়, ঘৃণায়, মুখ ঢাকি, আর অন্ধ
মানুষ গুলোকে দেখি,
হে বিধাতা, এদের দৃষ্টি দিলে এদের
কাছেও কি হত সব নারীই যুগে যুগে নির্যাতিতা, ধর্ষিতা?
এই তুমি সর্বশক্তিমান বিধাতা!, পারো
নাই নারীকে নারী হয়েও করিতে রক্ষা,
রাখিলে করিয়া নবযুগের রক্ষিতা!
——XXXX——