ভালোবাসা
ডঃ মদন চন্দ্র করন (বিদ্যালঙ্কার)
দুনয়নে নিদ্রাভাঙ্গা পৌষালি এলো
অদূরে সূর্যমুখী সর্ষে ক্ষেতে
অকাল বসন্তের সংকেত!
সোনার আংটি দিয়ে বরণ করি
এমন সামর্থ্য কোথায় পাই?
লোনা জল উতল হাওয়ায় উষ্ণ
সবুজের কোলাহলে যৌবন দূত
কচি মেয়ে লতার মতো বট বৃক্ষকে
আঁকড়ে ধরে পুরুষপরীক্ষা নিতে চায়
কে তুমি? কেনো এতো ভালোবাসো?
নিয়তি.. নারীর নিয়তি পুরুষ পরীক্ষা
বন মঞ্জরী সাগর হাওয়া হাসি মুখের জ্বালা
বুঝতে পারি কচি ফুলে পরাগ পরশ ভার…
পত্র পল্লব দল মন্ডলে উতল উজান স্রোতে
টগবগ করে ফুটছে ফুটন্ত যৌবনের অপ্সরী
ধূলি ধূসর দুঃখিনীর ঘরে মানুষ নয় সে পরী!
সুখ অনন্ত নয়, দুঃখ অনন্ত অসীম নয়…
সেই হাসি মুখের হাসি ডবল ঋদবল ছিল বেদনা
জুঁই চামেলী চাঁপা গন্ধরাজ কামিনীর মতো ফুটে
কাগজ ফুলের মতো লতায় ভরে যায় বুক পেটে
পুত্রের হাসি কন্যার মায়াবী আদর ভালোবাসা র
এক ভিন্ন জাদুটোনা দেরী করোনা হাতে হাত রাখো
দান কর, শরীর মন উজাড় করে দাও বসন্ত
ছেলে খেলার আসরে বসেছি এসো কানামাছি খেলি
–~০০০XX০০০~-