পুতুল খেলা
“””””””””””””””
আগন্তুক
পুতুল পুতুল খেলবো খেলা,
খেলবি যদি আয়!
বৌ সাজাবো তোরে কনে ,
চুপটি করে বয়।
রাঙা পাড়ের শাড়ি পরাবো,
হাতে রঙিন চুড়ি!
গলার হার নাকের নোলক,
লাগবে তোকে পরী!
বর না হয় সাজবো আমি,
ধুতি পাঞ্জাবি পড়ে!
তোর সাথেই দেবো পাড়ি,
শক্ত করে তোর হাতটি ধরে।
ভয় নেই তোর থাকবো আমি,
রাত ভোর পাহারাতে!
ব্যাস্ত রবো তোর সেবাতে,
তোর সব হারানো সুখ ফেরাতে।
তোর সুখেই যে সুখী আমি,
কি করে তা বলি!
সেই ছোট্ট থেকেই বাসি ভালো,
কি করে তা ভুলি!
জানি তুই অন্যকে চাস੍
সে এই তোর কাছে দামী!
মিথ্যে মিথ্যে একটা দিন না হয়,
ভাবেই না আমায় তুই তোর স্বামী!
এই নকল স্বামীর সাজেই না হয়,
কাটাবো বাকিটা দিন!
স্মৃতি গুলো জড়িয়ে বুকে ,
সুখেতে নাচবো তাধিন ধিন੍!!
ভালোবাসি কতো যে তোরে,
কি করে তা ভুলি !
সর্ব প্রহর খুজে বেড়াই ,
তোরই মনের গলি!
ভালোবাসি ভালোবাসি তোকে,
সবার মাঝেতেই বলি !
দুঃখের প্রহর ছোঁয়না যেন তোকে,
মনে মনে শুধু একথাই বলি!!
হায়রে জীবন!!
আগন্তুক
দেখেছি স্বপ্ননীর!প্রতিযোগিতায় ভরা ঠাসা ভিড়।
স্বতস্ফূর্ত প্রয়াসেও বার বার হয়েছি ব্যর্থ,বধির!
ক্লান্ত আমি পরিশ্রান্ত আমি,আমার যে গতি ধীর!
শুনেছি’সততা’মূলধন!প্রাপ্তি সাধনার অমূল্য রতন।
তাই হৃদ্রতায় মাখিয়ে,সততায় রয়েছি সারাক্ষণ ।
পেয়েছি সর্বদাই ভালোবাসার শ্রুতিমধুর জয় গান!
ভরেনি কখনোই পেট!ভরেছে প্রাণ!
বুঝেছি মাধ্যমরূপি অর্থই শ্রেয়! সর্বত্রে প্রয়োজন ।
ভালো থাকতে আর রাখতে,হতে সকলের প্রিয়জন,
দেখেছি মৃত্যু বারে বার!!
কখনো স্বপ্নভঙ্গন আশাহতের কখনো দেহ ক্ষতের!
রূপান্তরিত কালের পারাপার।
অচৈতন্য নিদ্রা ভঙ্গনের হইতে পুনরায় জীবদ্দশার।
দগ্ধ যন্ত্রণার মুক্তি লাভে জীর্ণ দেহর বিলীনতার।
কি শুনবো?কি দেখবো?কি বুঝবো আর?
লড়াই বিহীন স্বাদ!!কি আছে? ভবেতে বাঁচার?
একটু খানি সুখের ছোঁয়া, আর যন্ত্রনা হাজার ??
–~০০০XX০০০~–