বিষাদ
*********
মৌসুমী ঘোষাল চৌধুরী
বারিষপুত্র, তুমি কোনোদিন কারোকে ভালোবেসেছ ?
নেশায় টলমল গ্লাস, ঘুমহীন।
প্রতিরাত্রে পাল্টে ফেল ভালোবাসার পোষাক।
রঙীন চশমা পরে, আমিও দেব জবাব
কতটা কেঁদেছি সারাদিন ধরে, কয়েক কোটি
গুটি পোকা শীতে।
জোনাকির বোতলে, দেখো আমার প্রাণও ছিল।
যে অন্ধকারে পথ দেখায়, অন্ধজনের।
তোমার শখ হল, বিস্বাদ
ছুড়ে দিলে নিমেষে রুক্ষতায়।
অমাবস্যায় ভরা কোটালে তার মৃতদেহ।
তুমি আপন প্রেমিকার জুঁইফুলে থেকেছ মেতে।
তবু ও কিছু বলিনি
প্রেমিক কূলকে
নীরবে কেঁদে জানিয়েছি,
অভিনন্দন।
ভালো থেকো।
তালুতে দেখো, প্রজাপতি ও স্কুলে যেতে চায়নি।
ঘুরে ঘুরে স্বপ্নঘর বুনেছিল
ফুলেদের মাঝে বাসর রাত জেগে
পোখরাজ চাঁদ হারিয়ে,
মিলিত দোহার গাইবে রঙকুচো
থেমে থাকা সময়ের।
তুমি বলেছ, যোনিপথে অন্ধকার রাত্রি ।
যাতে, রক্ত পড়ার আগে
খুশির উৎসব না হয়
সাঁওতাল গ্রামে।
যাতে বিঁধে থাকে, ব্যর্থ আকন্দ
তোমাকে সাক্ষী করে
রাসায়নিক দ্রব্য।
যার শুধুই স্বপ্ন ছিল মেঘবালিকা হতে।
ঠোটে নিষ্পাপ লিপস্টিক।
কালো বলে , বেনীমাধব
দৌড়ে গেছিল মাঠপুকুর।
আর কালো মেঘে মেঘে, কেশরী অন্ধত্ব।
যে সহজ সুর তুমি কেড়ে নিয়েছ,
আবার গাইব।
পাখির সুর থামে না, যত ই তীর মারো
মজ্জায়।
–~০০০XX০০০~–