তৃষিতা
কিশোর বিশ্বাস
সোনালি বরাবরই ছেলেদের একটু অপছন্দ করে। বড় হলো,লেখাপড়া শিখলো, চাকরি হলো কিন্তু রুচির কোন পরিবর্তন হলো না। তবে এক সময় মা হবার খুব সখ হলো তাই স্পার্ম ব্যাঙ্ক থেকে স্পার্ম নিয়ে সুন্দর ফুট ফুটে একটা মেয়ের জন্ম দিল।নাম রাখল কমলিকা। কমলিকা স্কুলে ভর্তি হলে কাজের মাসি তাকে দিয়ে আসে নিয়ে আসে। অন্যান্য বেশীর ভাগ বাচ্চারা কেহ মার সঙ্গে আসে কেহ বাবার সঙ্গে আসে।যারা বাবার সঙ্গে আসে যাদের বাবারা বাচ্চাদের কোলে করে নিয়ে আসে, চুমু খায় তাদের উপর ওর খুব রাগ।একদিন তো একটা বান্ধবীকে মেরে ধরে একাকার করে দিল।কেন তোর বাবার কোলে আসিস,কেন তোর বাবা তোকে চুমু খায়? ন্যাকা মেয়ে। সে বলল তোর বাবা ও আসুক, তোকে ও চুমু খাক তাতে আমার কি।
সেদিন সোনালি বাড়িতে এসে দেখে মেয়ে ঘরে নেই। মাসিকে জিজ্ঞাসা করলে মাসি বলল ছিল তো ওখানে। সোনালি দেখে টেবিলের উপর একটা কাগজের টুকরো তাতে পেন্সিল দিয়ে আঁকা বাঁকা অক্ষরে লেখা, হয় আমি বাবাকে নিয়েই বাড়ি ফিরবো, না হলে ফিরবো না।
–~০০০XX০০০~–