শান্তী কিসে
রণজিৎ মন্ডল
জানি না, শান্তী আছে কিসে,
ঘরেই বন্দী ছিলাম দুহাজার
বিষে!
কেউ ছিল না পাশে, আমিও
যাইনি কারো পাশে,
শিধ কেটে ঢুকে গেল অশান্তী
দুহাজার বিষে!
এখনো খুজি শান্তী, দুহাজার
একুশে,
অশান্তীর আগুন যেন ধিকি ধিকি
জ্বলিছে দিবা নিশি!
সবারই মুখ ঢাকা, কথা বলে না
আছে নিশ্বাসে বিষ মিশে,
ভাইরাস করনা, এ ছাড়া কথা না,
এতেই কি শান্তী শেষে!
এদিক ওদিক চাই, আশে পাশে
কেউ নাই,
হাঁকে সব্জি ওয়ালা নীচে এসে,
উকি মারি জানলায়, দেখিতে
মন চায়,
সব্জি তো গেছে যশে ভেসে,
শান্তী বল পাই কিসে!
খেতে মন চায় যা, তা কি আর পাবো না,
লেবুজল, টক্ দৈ, মিষ্টির দেখা নেই,
মাঝে মাঝে দিয়ে যায় লিকার চা,
চিনি ছাড়া জলে চা মিশে,
খাওয়া দাওয়া ভুলে সব,ভ্যাক্সিনের
কলোরব,
দরজা ভেদ করে কানে ভেসে আসে!
সবেতেই ভ্যাজাল ভাই, ভ্যাক্সিনে কেন
রেহাই!
এ কথা বলবে কে এসে!
মরি যদি সেও ভালো, ভুয়ো ভ্যাক্সিন এলো,
এক চিন্তাই কুরে খায় শেষে।
শান্তী কোথাও নাই, ভরসা করনাই,
যদি যায় রক্তে মিশে,
সব শেষ নিমেষে, দুহাজার বিষে যা
তাই হল একুশে!
জানি না শান্তী তাই কিসে,
পরম শান্তী ঐ আকাশের নীচে,
মহাসিন্ধু গিয়ে যেখানেই মেশে!
–~০০০XX০০০~–