বাঁচাও এবং বাঁচো
———-©সুপ্তোত্থিতা সাথী
অদ্ভুতভাবে সময়ও ভেঙে যায় আড়মোড়
শীতলপাটি কিংবা ভেজা জানলায়
শুয়ে,বসে,পাশফিরেও অবাক বিস্ময়
পৃথিবীকে নিয়ে ওদের বা আমার তেমন কোনো
মাথাব্যথা নেই
সিলিং জুড়ে রোজ এসে আতঙ্কের
কালো কালো হাতের ছাপ বসিয়ে দিয়ে যায় কেউ
নোনা ধরা দেওয়ালে নামতার মতো সার বেঁধে
কেউ কেউ লিখে রাখে মনস্তাপ।
ফ্যান গালবে নাকি চাট্টি পান্তায় ভরিয়ে নেবে
খিদেতুর পেট!
এখন আর কানাগলি বেয়ে ফিরেও দেখে না
সাড়ে ছ’টাকা ওয়ালা,
ওদেরও জীবন হয়তো সাড়ে ছ’টাকায় বিকিয়ে গেছে
জীবনের কাছে
তবু টিকে আছে,ওটুকুই যে টেন ক্লাসের
জীবনবিজ্ঞানের পাঠ-
‘অস্তিত্বের জন্য জীবনসংগ্রাম’।
রবি ঠাকুরের ‘তোতা কাহিনী’র তোতারও তো পেটে
বিদ্যে গিজগিজ করেছিলো
তাতে হলো কী?
এইবার শীতলপাটি ছেড়ে উঠতেই হবে,
হ্যাঁ হ্যাঁ উঠতেই হবে
যতগুলো বই অনাদরে ধুলো মেখে ঘুমিয়ে আছে
জংধরা ট্রাঙ্কের ভেতর
ওদের আজ ঝেড়েঝুড়ে বড়ো আদরে
বেচে দেবো দুটাকা কিলো দরে
কিন্তু রদ্দিওয়ালা! যে রোজ রোদ মাখতো নিয়ম করে
ও আজ জাতে উঠে গেছে
ওর নাগাল পেতে হলে শীতলপাটিতে গা এলিয়ে
চোখে দুটো তুলসীপাতা ছুঁয়ে দিলেই হলো-
কিন্তু আমায় যে বিজ্ঞান জীবনের পাঠ দিয়েছে
তাতে তুলসীতলায় রোজ ঢেলে যাই জল
যে আমার মৃত্যুকে স্বর্গীয় করে তোলে
তাকেই না হয় একটু বাঁচাই।।
–~০০০XX০০০~–