// সুখের ঠিকানার খোঁজে //
✍ অনিমেষ চ্যাটার্জি
মুখবইয়ের ভাঁজে ভাঁজে অন্তর্জালিক সম্পর্ক ভরে, ব্যাঙ্কের ভল্টে রাখা।
শীতলপাটির সাথে মেসেঞ্জারকে পাকিয়ে তোলা লফ্টের মধ্যে এ.সি. মেশিনের ধুলো জমাট বাক্সটায়।
হোয়টস্যাপটাকে চার ভাঁজ করে উমানাথ বাবুর গণেশমূর্তির সাথে দেরাজে রেখে দেওয়া সামাজিক দূরত্বের চাবি বন্ধ করে।
মুঠোফোনটা ফ্যালফ্যাল করে দেওয়ালের গোপন কুলুঙ্গির দিকে চায়, সুসংবাদ প্রদীপের আশায়।
স্যাঁতসেঁতে গলির বন্ধ ঘরে আরামকেদারায় অকর্মন্য অন্ধকারের সাথে নির্জনে লেপ্টে থাকে অনিচ্ছাকৃত গ্রীষ্মকালীন শীতবিলাস।
বিন্নি ধানের খই খুঁটে ঊষর মরুর করপুটে স্বাচ্ছন্দ্য আলেয়ার হাতছানি।
চোখে চোখ রেখে অর্জুনের সার্কাস এড়িয়ে ঘুমের ঠোঁটে ভালবাসায় এক্কাদোক্কা প্রেম বিনিময়।
দৃষ্টির ফিতে শানিয়ে মগনলালের ঘুলঘুলির ফাঁকে লাগা চিলতে আলোর অক্ষ ও দ্রাঘিমা রেখা জরিপ করে কাক চড়াই।
আশার ওমে তা দেয়, একদিন হঠাৎ করে উঁচুতে থাকা ঘুলঘুলিটা ফুসমন্তরে বিরাট জানলা হয়ে যাবে।
জ্ঞানবাপির ঘুলঘুলিতে আটকে থাকা আলোর ফিনিক্স পাখিটা অন্ধকারকে ঠোঁটে করে ডানা ঝাপটে সেই জানলা দিয়ে উড়ে যাবে সুখ-ঠিকানার খোঁজে।
–~০০০XX০০০~–